এক বছরেও ফেরত আসেনি চুরির ৬৬ মিলিয়ন ডলার

এক বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হয় ১০১ মিলিয়ন ডলার। চুরি হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে ফেরত এসেছে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৬৬ মিলিয়ন ডলার এখনও ফেরত আসেনি।

অন্যদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হননি কোনো আসামি। অপরাধীদের কবে গ্রেফতার করা হবে তাও জানাতে পারেনি তদন্ত সংস্থা সিআইডি (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ)।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, রিজার্ভ চুরির সাথে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ে দেশি-বিদেশি চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করা হয়েছে। চুরি যাওয়া টাকা কোথায় গেছে আর কার কাছে তাও চিহ্নিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চুরি হওয়া ১০১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত এসেছে। এর মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার এবং ২০ মিলিয়ন ডলার ফেরত এসেছে। আশা করছি, বাকি ৬৬ মিলিয়ন ডলারও ফেরত আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, চুরি যাওয়া ডলার ফিরিয়ে আনতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে। আশা করছি, শিগগিরই তা ফেরত আনতে পারব। ইতোমধ্যে ৩৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেয়েছি। বাকি ৬৬ মিলিয়ন ডলারও আমরা ফেরত পাব।

গেল বছর ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন ডলার (১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার) চুরি হয়ে যায়। চুরি হয়ে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

ফিলিপাইনে চলে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি ডলার এরই মধ্যে ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাকি প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ডলার আদৌ ফেরত পাওয়া যাবে কিনা- তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এছাড়া রিজাল ব্যাংক বিবৃতিতে চুরির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য বাংলাদেশের নিজস্ব তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করতেও বলেছে। ফলে অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ সঠিক ছিল কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

চুরির ঘটনায় ওই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব ও বাজেট বিভাগের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় এবং ৩৭৯ ধায়ায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।জাগো নিউজ।



মন্তব্য চালু নেই