এক সপ্তাহেও রেলের ইঞ্জিন উদ্ধার হয়নি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে রেলসেতু ভেঙে খালে পড়ে যাওয়া রেলের ইঞ্জিন ও তেলবাহী তিনটি ওয়াগন খাল থেকে উদ্ধার করা যায়নি এক সপ্তাহেও।

ঘটনার ছয় দিন পর বুধবার রেলসেতু মেরামত করতে সক্ষম হলেও ইঞ্জিন ও ওয়াগন উদ্ধারে কোনো অগ্রগতি নেই।

রেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, অব্যাহত বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযানে সমস্যা হচ্ছে। তবে সেতু মেরামত হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ইঞ্জিন উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক জানান, বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতা বিঘ্নিত হওয়ায় ইঞ্জিন ও ওয়াগন উদ্ধারে সময় লাগছে।

তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ইঞ্জিন উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলবে।

আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে বোয়ালখালী খাল থেকে ইঞ্জিন ও তেলবাহী তিনটি ওয়াগন উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

মহাব্যবস্থাপক জানান, ভেঙে পড়া রেলসেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এখন রিলিফ ট্রেন দিয়ে ইঞ্জিন উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

এ দিকে এক সপ্তাহেও তেলবাহী ওয়াগন উদ্ধার না হওয়ায় ওয়াগন থেকে ফার্নেস অয়েল বোয়ালখালী খাল, কর্ণফুলী নদী এবং হালদা নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে।

এতে কর্ণফুলী নদীদূষণের পাশাপাশি দেশের একমাত্র এবং বৃহত্তম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদার ব্যাপক দূষণের ফলে মৎস্য প্রজননের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।

এদিকে স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে জানা গেছে, নতুনভাবে এলাকা, খাল-নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে ফার্নেস অয়েল। এতে পরিবেশ বিপর্যয়সহ এলাকার হাঁস-মুরগি, অন্যান্য প্রাণী ও খেতখামারে মড়ক দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ টাকা লিটার দরে নদীতে পড়ে যাওয়া ফার্নেস অয়েল বিপিসির মাধ্যমে কিনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও এই ঘোষণায় কোনো সাড়া মিলেনি।

গত তিন দিনে কোনো তেল সংগ্রহ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বিপিসি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও চার কার্যদিবস শেষেও প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের বোয়ালখালীর সাকিরাপুল (২৪ নম্বর ব্রিজ) ভেঙে ফার্নেস অয়েলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগন ও রেলইঞ্জিন খালে পড়ে যায়। এতে ট্রেনের চালকসহ তিনজন আহত হয়। এ ছাড়া লক্ষাধিক লিটার ফার্নেস অয়েল খাল ও নদীতে ছড়িয়ে পড়ে।



মন্তব্য চালু নেই