এখনও সবার উপরেই তামিম ইকবাল

প্রথম রাউন্ড, সুপার টেন, সেমিফাইনাল শেষে পর্দা নামার অপেক্ষায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ৩৪টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন কেবল ফাইনালটাই বাকি। আর এই টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের তালিকায় সবার ওপরেই আছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।

এশিয়া কাপের রানার্সআপ হওয়া বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরের প্রথম রাউন্ড পেরিয়েই জায়গা করে নেয় সুপার টেনে। তবে সুপার টেনে কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি মাশরাফিবাহিনী। দলগত পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালের টিকেট না কাটতে পারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বেশ উজ্জ্বলই ছিলেন তামিম।

টুর্নামেন্টের প্রথমপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। টি-টোয়েন্টিতে ওটাই ছিল তার এবং বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। তামিমের ৬৩ বলে করা ১০৩ রানের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৫টি ছক্কার মার।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওই ম্যাচের পর বিশ্বকাপে আরো ২২টি ম্যাচ হয়েছে। তবে তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস এসেছে আর মাত্র একটি। সুপার টেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ক্রিস গেইল। ক্যারিবীয় ব্যাটিং-দানবের ৪৮ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি ছক্কা ও ৫টি চারের মার।

টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটি এসেছে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতীয় ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির অপরাজিত ৮৯ রান। যদিও লেন্ডল সিমন্সের অপরাজিত ৮২ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ক্যারিবীয়রা।

সুপার টেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ৮৪ রান করে চতুর্থ স্থানে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তামিমের অপরাজিত ৮৩ রান আছে পঞ্চম স্থানে। অর্থাৎ সেরা পাঁচ ব্যক্তিগত ইনিংসের দুটিই তামিমের।

এছাড়াও ছয় ম্যাচে ২৯২ রান করে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তামিমই। পাঁচ ম্যাচ খেলে ২৭৩ রান নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি।

এদিকে, ওমানের বিপক্ষে তামিমের অপরাজিত ১০৩ রান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। আর সর্বোচ্চ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ১২৩ রান, ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।



মন্তব্য চালু নেই