এখনো জমা পড়েনি স্বাধীনতা পুরস্কারের মনোনয়ন

স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৬-এর জন্য মনোনয়নের প্রস্তাবসংবলিত তালিকা জমা দেয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো তা জমা দেয়নি কোনো মন্ত্রণালয়। ফলে এই ‍পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা জমা দেয়ার সময়সীমা এক মাস বাড়ানো হয়েছে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা পাঠাতে সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসব নামের তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

দেশের স্বাধীনতার পক্ষে এবং জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মনোনীতদের তালিকা পাঠানো হয়ে থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। এবার ওই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো তালিকা পাঠায়নি কেউ। এ জন্য সব মন্ত্রণালয়কে ফের চিঠি দিয়ে তাগাদা দেয়ো হয়েছে যেন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা পাঠানো হয়।

২০১৬ সালের ২৫ মার্চ এই পুরস্কার দেওয়া হবে।

সময়মতো তালিকা না পাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের প্রধান কর্মকর্তারা পদে না থাকায় তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়া যায়নি। তাই এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে।

নজরুল ইসলাম আরও জানান, আগামী বছরের ২৫ মার্চ ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করবেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের প্রধানদের বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, “স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আপনার কোনো মনোনয়ন থাকলে তা উল্লিখিত সময়ের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।”

২০১৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পান আট বিশিষ্ট ব্যক্তি।



মন্তব্য চালু নেই