এত টিকিট গেলো কোথায়?

কান পাতলেই শোনা যায় হাহাকার। ফেসবুক খুললেও একই দৃশ্য। টিকিট চাই টিকিট। এমনিতে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ২৫ হাজার। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এর চেয়ে বেশি ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম না থাকাটা অবশ্যই ভাবনার। বাংলাদেশ এবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবে তা হয়তো অনেকেই ভাবেননি। কিন্তু যেই না পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়ে গেলো টিকিটের জন্য শুরু হয়ে গেলো হাহাকার।

শুক্রবার দিবাগত রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে যান ক্রিকেট পাগল মানুষ। দিনভর অপেক্ষা করেও তারা টিকিট পাননি। উল্টো হজম করতে হয়েছে টিয়ারশেল আর পুলিশের পিটুনি। কিন্তু একটি প্রশ্ন এখন ঢাকার বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে টিকিট তাহলে গেলো কোথায়? বাংলাদেশ-ভারত স্বপ্নের ফাইনাল খেলা দেখছেন কারা। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা হিসাব দিচ্ছে ১০ হাজার টিকেটই আসলে চলে গেছে সৌজন্য বাবদ।

৩০০ এমপি পাঁচটা করে টিকেট ১৫০০। প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকে আসবেন মানে তার ব্যারিকেড ৫০০। সমস্ত ক্লাব আর রেজিস্ট্রার্ড প্লেয়ার ৩০০০।

আর্মি ২০০০। আমলা এবং তাদের বায়নাসহ ২০০০। মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত টিকিট ১০০০।

বাদ বাকি ১৫০০০ টিকিটের জন্য লড়াই করছে ১৬ কোটি মানুষ। আসলেও তাই। সুযোগ থাকলেতো আজ ১৬ কোটি জনতাই হাজির হতে চাইবেন শেরেবাংলায়। কালোবাজারিরা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন ১৬ আনা। কোথাও কোথাও চারগুন, পাঁচগুন দামেও টিকিট বিক্রির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সাধারণ ক্রিকেট প্রেমিদের জন্য তাই আজকের ফাইনাল সরাসরি দেখার সুযোগ খুব কমই মিলবে। পর্দায় হয়তো আজ নতুন মানুষই দেখা যাবে।

তবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোটি কোটি মানুষের আজ দৃষ্টি থাকবে পর্দার দিকেই। ছোট পর্দা, বড় পর্দায় নজর থাকবে মানুষের। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর আজ নিশ্চিতভাবেই থমকে যাবে বাংলাদেশ।

জীবন-মরণ লড়াইয়ের দিন উমর আকমলের ক্যাচ ওঠার পর তাসকিনের প্রার্থনার দৃশ্যটি কি আপনার মনে আছে। দুই হাত ওপরে তুলে মোনাজাত করছিলেন তিনি। মোনাজাতে ছিল পুরো স্টেডিয়ামও। আজও ব্যতিক্রম নয়। প্রার্থনায় থাকবে পুরো বাংলাদেশ। ইতিহাস হোক। নতুন ইতিহাস।#মানবজমিন



মন্তব্য চালু নেই