এবার ডাচ বাংলা-ট্রাস্ট-সিটি ব্যাংকের তথ্য চুরি

বাংলাদেশের তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ দক্ষিণ এশিয়ার মোট পাঁচটি ব্যাংকের তথ্য চুরি করেছে তুরস্কের হ্যাকারদের একটি দল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক ওয়েব সাইট’ ডাটা ব্রিচ টুডে’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য চুরি যাওয়া বাংলাদেশের তিনটি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে: ডাচ-বাংলা ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক ও সেনাবাহিনী পরিচালিত ট্রাস্ট ব্যাংক। ‘বোজকার্টলার’ নামের একটি হ্যাকরদের একটি দল তথ্য চুরির ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। নেপালের দুটি ব্যাংকের তথ্যও চুরি করেছে তারা। ব্যাংক দুটি হচ্ছে: বিজনেস ইউনিভার্সাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং সানিমা ব্যাংক।

চুরি করা সব তথ্যই তারা অনলাইনে প্রকাশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে কাতারের ‘ন্যাশনাল ব্যাংক’ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘ইনভেস্ট ব্যাংক’র তথ্যও চুরি করে ফাঁস করে দিয়েছিল বোজকার্টলার। হ্যাকার দলটি ভবিষ্যতে এশিয়ার আরো ব্যাংকের তথ্য চুরি করে ফাঁস করে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ‘ডেটা ব্রিচ টুডে’ জানায়, ব্যাংক পাঁচটির চুরি করা তথ্য আসল বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও কাতার ন্যাশনাল ব্যাংক ও ইনভেস্টব্যাংকের চুরি করা তথ্যের তুলনায় তা অনেক কম।

চুরি করা এসব তথ্যের মধ্যে বাংলাদেশের সিটি ব্যাংকের ১১.২ মেগাবাইট, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৩১২ কিলোবাইট ও ট্রাস্ট ব্যাংকের ৯৫ কিলোবাইট আকারের ফাইল রয়েছে। এছাড়া নেপালের দুটি ব্যাংকের ফাইলগুলোর আকার যথাক্রমে ২৫১ ও ৪৭ মেগাবাইট।

নিরাপত্তা প্রকৌশলী ওমর বেনবুজা জানান, তার ধারণা হ্যাকাররা সানিমা ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ওয়েবশেল আপলোড করেছে। কাতার ন্যাশনাল ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই ধরনের কাজ করেছিল তারা। উল্লেখ্য, ওয়েবশেল এমন একটি কোড, যা কম্পিউটার বা সার্ভারে ঢুকিয়ে ওয়েব সাইটের অ্যাডমিন সুবিধা নেয়া যায়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করে নিয়ে যায় হ্যাকাররা, যা বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে ফিলিপাইনে চলে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের বেশিরভাগেরই কোনো হদিস মিলছে না। এই ঘটনায় পদত্যাগ করতে হয়েছে ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানকে।



মন্তব্য চালু নেই