এবার ড্রোন মশার সাহায্যে যা করবে আমেরিকা

অতি ক্ষুদ্র ড্রোন তৈরির গবেষণায় ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করেছে আমেরিকা। এসব ড্রোন আকারে মশা-মাছির চেয়ে বড় না হলেও এতে বসানো থাকবে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন। এ ছাড়া, প্রয়োজনে এসব মশা-মাছি আকৃতির ড্রোন দিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে শক্রকে বিষ পর্যন্ত প্রয়োগ করা যাবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে, এ ধরনের ড্রোন তৈরির গবেষণা করছে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এই দলকে সহযোগিতা করছে ভার্জিনিয়ার আলিংটনে অবস্থিত রাইট-প্যাটারসন বিমান ঘাঁটির ‘ইউএস অফিস অব দ্যা সায়েনটেফিক রিসার্চের’ কর্মকর্তারা। গবেষকরা ‘মাইক্রো অ্যারিয়েল ভেহিকল’ বা এমএভি নামের কীট পতঙ্গ আকারের ড্রোন তৈরির কাজ করছে।

এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে অনায়াসে নানা গোয়েন্দা অভিযান চালানো যাবে। এসব কৃত্রিম পতঙ্গের দল বা ড্রোন অনায়াসে যে কোন শহর বা চূড়ান্ত গোপনীয় স্থানে ঢুকে পড়তে পারবে। যে কোনো তথ্য অতি সহজে এবার সবার অজান্তেই তুলে আনতে পারবে এই ছোট আকারের ডোনগুলো।

এই ড্রোনগুলি অনকে দূর থেকেই নিয়ন্ত্রন করা যাবে। মশা বা মাছির মতো অনায়াসে এসব ড্রোন সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহে এসে বসতে পারবে। তারপর অতিসূক্ষ্ম সুঁই ফুটিয়ে ব্যক্তিটির দেহ থেকে ডিএনএ নমূনা সংগ্রহ করে দ্রুত বেগে উড়ে সরে পড়বে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি এক্ষেত্রে মশার কামড়ের চেয়ে বেশি ব্যথা পাবে না। তবে মশায় কামড়ালে যে রকম জ্বালা হয় তা অবশ্য হবে না। কিন্তু জায়গাটা ফুলে উঠবে।

এসব ড্রোন কেবল ডিএনএ নমুনাই সংগ্রহ করবেনা সেইসঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহে অতিক্ষুদ্র আকারের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন বা আরএফআইডি বসিয়ে দিয়ে আসবে। ফলে দূর থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তির চলাফেরার ওপর নজর রাখা যাবে। কিংবা এ ড্রোন দিয়ে বিষও প্রয়োগ করা যাবে শত্রুপক্ষের লোকজনকে।

অবশ্য শুধু আমেরিকাই নয়, ইতিমধ্যে ইজরায়েল, ফ্রান্স ও নেদারল্যাণ্ড একই ধরনের ড্রোন তৈরি করছে। যদিও এই কাজে অনেক এগিয়ে রয়েছে ইজরায়েল। প্রজাপতি আকারের ড্রোন তৈরি করেছে এই দেশটি। এক বিশেষ ধরনের হেলমেট পরে এই ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হেলমেট মাথায় দিলে প্রজাপতি-ড্রোন যা দেখবে তার সবই দেখতে পাবেন হেলমেটধারী ব্যক্তি।



মন্তব্য চালু নেই