এবার ‘তিন তালাক’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য যোগীর

নারীদের নিয়ে অবমাননাসূচক বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত ভারতের উত্তরপ্রদেশের হিন্দুত্ববাদী মূখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ফের আলোচনায় এসেছেন।

এবার তিনি মুসলিমদের বিবাহ বিচ্ছেদে নারীদের তিন তালাক নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচিত হয়েছেন।

যোগী তিন তালাকের সঙ্গে পৌরাণিক কাহিনী মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের তুলনা করে বলেছেন, ‘এ ইস্যুতে যারা নীরব রয়েছেন, তারাও সমান অপরাধী।’

সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের ৯১তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘যারা এই অপরাধ করছে, তাদের সঙ্গে একই সারিতে ফেলা উচিত রাজনৈতিক স্তরে যারা এই ইস্যুতে নীরব রয়েছেন তাদেরও। পুরো ঘটনা আমাকে মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দৃশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছে।’

তবে আদিত্যনাথের মন্তব্যকে ‘বোকামি’ বলে উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেছে সর্বভারতীয় মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড।

এর আগে ‘তিন তালাক’ ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিন তালাকের এই প্রথা বন্ধের দাবি করে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে মত জানান।

গত ডিসেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এক রুলে বলেছিল, তিন তালাক ভারতের সংবিধান প্রদত্ত নারীদের সমতার অধিকারকে লংঘন করে। আগামী ১১-১৯ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক ইস্যুতে শুনানি গ্রহণ করবেন।

এদিকে সম্প্রতি যোগীর ওয়েবসাইটে নারীদের নিয়ে অবমাননাসূচক লেখা পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস যোগীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে।

ওই লেখায় যোগী হিন্দু শাস্ত্র মোতাবেক নারীদের বিভিন্নভাবে রূপায়িত করার বিষয়ে সমালোচনা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র।

কংগ্রেসের মুখপাত্র রনদীপ সারজিওয়ালা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সম্প্রতি যোগী তার ওয়েবসাইটে যে লেখা দিয়েছেন তা নারীদের জন্য খুবই অপমানজনক ও অরুচিকর। অবিলম্বে তার এ লেখা প্রত্যাহারের পাশাপাশি যোগীকে ক্ষমা চাইতে হবে।’

যোগীর ওয়েবসাইটে (yogiadityanath.in) লেখাটি অন্যান্য আর্টিকেলের উপরে স্থান পেয়েছে। তবে এটি কবে পোস্ট করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

২০১০ সালে লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় যোগী আদিত্যনাথের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে। তখন নারী অধিকার সংরক্ষণ বিল ভারতের সংসদে আলোচনায় আসে।

তথ্যসূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি



মন্তব্য চালু নেই