এবার নতুন রূপে আসছেন আমির খান !!

অধ্যবসায়ের আরেক নাম আমির খান। ‘দঙ্গল’ ছবির জন্য নিজের শরীরকে ভেঙে-গড়ে নানান রূপ দিয়েছেন তিনি। তবে তার পেছনে রয়েছে অবিশ্বাস্য কঠোর পরিশ্রম ও তিতিক্ষার রোজনামচা।

বলিউড চার্টবাস্টার নায়কদের তালিকা দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে শাসন করে চলেছেন তিন খান। অভিনয়, ক্যারিশমা ও গ্ল্যামারের ভিত্তিতে বক্স অফিস জয়ে অন্য সব নায়কদের চেয়ে তাঁরা এগিয়ে। তবে শাহরুখ-আমির-সালমানের মধ্যে একেবারে ভিন্ন গোত্রের আমির খান। তাঁর ছবি মানেই নতুন কিছু প্রাপ্তি। অন্য কোনও অভিনেতা যা গোটা কেরি য়ারে মাঝে-সাঝে করে থাকেন, আমিরের ক্ষেত্রে তা প্রতি ছবির পূর্বশর্ত। চিত্রনাট্যে আঁকা চরিত্রকে রক্ত-মাংসে রূপ দিয়ে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে কোনও আপোসে তিনি রাজি নন।

১৯৮৮ সালে ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ছবি দিয়ে আমিরের হিটযাত্রার শুরু। তবে তার আগে তৈরি হওয়া ‘হোলি’ ও ‘রাখ’ ছবিতেই অভিনয়ের জোরে দর্শক-হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন তিনি। ‘চকোলেট হিরো’ হিসেবে একের পর এক হিট উপহার দেওয়ার পর সেই রাস্তা ত্যাগ করেন আমির। ‘সরফরোশ’ (১৯৯৯) ও তারপর ‘লগান’ (২০০১) ছবিতে চিরাচরিত বলিউড স্টারের ইমেজ জেড়ে ফেলে ভিন্নধর্মী চরিত্রদান করতে তাঁকে দেখা যায়।

এরপর বড় চমক আসে ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘ঘজনি’-তে। প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চিত্রনাট্যের দাবিতে নাগাড়ে কয়েক মাসের ওয়েট ট্রেনিং নিয়ে নিজেকে পেশিবহুল করে তোলেন আমির। সেই সঙ্গে বদলে ফেলেন হেয়ারস্টাইল, শরীর ঢাকেন ট্যাটুতে। পর্দায় আমিরকে দেখে শিহরিত হয় দর্শক।

তবে সাম্প্রতিক নির্মিত ছবি ‘দঙ্গল’-এর জন্য এমন পরিশ্রম করেছেন আমির খান, যে তাই নিয়ে বলিউড জুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। ছবিতে তিনি প্রৌঢ় প্রাক্তন কুস্তিগীর মহাবীর সিংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন বলে খবর। চিত্রনাট্যের কারণে তাঁর চেহারা বড়সড় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে নিজের দেহের ওজন বাড়ানোয় মন দেন আমির। কয়েক মাসের চেষ্টায় ছিপছিপে শরীরে মেদ জমতে শুরু করে শেষে ৯৯ কেজিতে এসে ঠেকে।

কিন্তু তারপরই চমক। প্রথম পর্বের শ্যুটিংয়ের পর ফের মেদ ঝরাবার পালা। মাস কয়েক অক্লান্ত পরি শ্রমের শেষে পেশিবহুল যুবক কুস্তিগীরের চেহারা তৈরি করে ফেলেন আমির। তবে তার জন্য তাঁকে করতে হয়েছে অভাবনীয় পরিশ্রম। ছবির এই পর্যায়ের শ্যুটিংয়ের জন্য শরীর গড়তে আমেরিকার অ্যারিজোনায় পাড়ি দিয়েছিলেন আমির।

রোজ সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠতেন। প্রতিদিন রুক্ষ পাহাড়ি পথে কষ্টসাধ্য ট্রেকিং করতেন আমির। এতেই শেষ নয়, তারপর কয়েক কিমি সাইক্লিং, সাঁতার ও টেনিস খেলে পেশি তৈরি করার পাঠ নিতেন অভিনেতা। ব্যায়ামের সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনারের পরামর্শ মেনে ডায়েট করতে হয়েছে তাঁকে। কয়েক মাসের চেষ্টার পর তাঁকে দেখে পের একবার অবাক হওয়ার পালা চবির কলাকুশলীদের।



মন্তব্য চালু নেই