‘এবার বিক্রি একটু বেশিই হচ্ছে’

‘গত বছরের মতো এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা নাই। তাই দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো। ফুলের চাহিদাও বেড়েছে। তাই এ বছর দাম একটু বেশি হলেও গত বছরের চেয়ে ফুলের বেচাকেনা একটু ভালো।’

একুশে ফেব্রুয়ারির আগের দিন শনিবার শাহবাগে এসব কথা বলছিলেন ফুল ব্যবসায়ী মো. মানিক।

ফুলের দাম বেশি হওয়ার কারণ বলতে গিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে পহেলা বসন্ত ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস গেল। অনেক ফুল বিক্রি হয়েছে। এর কয়েকদিনের মাথায় একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই ফুলের চাহিদা বেশি। অন্যদিকে ফুলের চাষ তেমন বাড়েনি।’

রাজধানীর শাহবাগে ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই তিনদিনই ফুলের সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়ে থাকে, চাহিদা থাকে তুঙ্গে। দামও একটু বেড়ে যায়। এ সময়কে কেন্দ্র করে ফুল ব্যবসায়ীদেরও থাকে বিশেষ প্রস্তুতি।

শাহবাগের মোহনা ফুল কুটিরের পাইকারি ফুল বিক্রেতা বশির হোসেন জানান, একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে। এ দিবসে মূলত শ্রদ্ধাঞ্জলির জন্য ‘রিং’ বেশি বিক্রি হচ্ছে।

কথা হয় আরেক ফুল ব্যবসায়ী ও অনন্যা পুস্প বিতানের মালিক মুমিনুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শাহবাগে ফুলের বিশাল পাইকারি বাজারে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিদিন দেশের প্রায় ১৯টি জেলা থেকে ফুল আসে। প্রতিদিন এখানে বেচাকেনা হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ফুল। ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এর পরিমাণ কয়েকগুন বেড়ে যায়।

শাহবাগে ফুলের মার্কেটে রজনীগন্ধা, গাঁদা, জারবেরা, কেলোনজরা, চন্দ্রমল্লিকা, লাল ও সাদা গোলাপ, ভুট্টা ফুল, বেলি, কামিনী, সূর্যমুখী, ডায়মন্ড, গরম ফেনিয়া, রতপুসুটি, টুনটুনি, জিপসি, স্টারকলি, ডালিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল বিক্রি হয়।

তারা আরো জানান, প্রতিদিন যশোর, সাভার, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইলসহ প্রায় ১৯ জেলা থেকে ফুল আসে এই বাজারে।

ভাই ভাই পুস্প বিতানের বিক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলির রিং এর চাহিদা বেড়ে যায়। ৭০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে রিং তৈরি করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই