এবার সহকারী শিক্ষকদের ৬ দফা দাবি

সহকারী শিক্ষক পদ থেকে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন।

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন। কিন্তু শিক্ষকদের সম্মান ও আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টি কখনই বিবেচনা করা হয়নি। বারবার শিক্ষকরা উপেক্ষিতই থেকেছেন।’

শতকরা ১৫ শতাংশ শিক্ষক তাদের কর্মজীবনে পদোন্নতি পান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন সহকারী শিক্ষক যে পদে নিয়োগ পান, সে পদ থেকেই অবসর নিতে হয়। কারণ এ পেশায় পদোন্নতির সুযোগ খুব কমই আসে। এ কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ পেশায় আসতে চায় না।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে শিক্ষকদের প্রমোশন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে আছে। এতে শিক্ষদের মধ্যে চরম ক্ষোভ আর হতাশা বিরাজ করছে।’

সরকারী শিক্ষকরা ক্রমাগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনের পার্থক্য ছিল এক ধাপ। ২০০৬ সালে এর পার্থক্য হলো ২ ধাপ। ২০১৪ সালে প্রকাশিত বেতন কাঠামোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনের পার্থক্য তৈরি করা হয়েছে ৩ ধাপ। অষ্টম পে স্কেলেও সহকারী শিক্ষকদের বেতন পার্থক্য একই।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্চনার জন্য দায়ি সাংসদ সেলিম ওসমানের সংসদ পদ বাতিলের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রধান শিক্ষকের নিচের ধাপে নির্ধারণ করা; সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া; নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী পুরুষ বৈষম্য দূর করে সবার ক্ষেত্রে স্নাতক নির্ধারণ করতে হবে; সারাদেশে সহকারী শিক্ষক বদলি বন্ধ করা ও নীতিমালা সংশোধন করা; প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন অফিস সহকারী নিয়োগ করা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হালিমুজ্জামান, এ কে এম খসরুজ্জামান, সেলিম হোসেন, মাহবুব হাসান রাজু, নুরুজ্জামান সেলিম, শাহিন হাওলাদার, বাঁধন খান পাঠান উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই