এবার সুন্দরী মা ও মেয়েকে একসাথে ধর্ষনের চেষ্টা

নোয়াখালী চাটখিল উপজেলায় ১নং সাহাপুর ইউনিয়ন পূর্ব শোসালিয়া জান মেহাাম্মদ পাটায়ারী বাড়ী এ ঘটনা ঘটে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শোসালিয়ার জান মোহাম্মদ পাটায়ারী বাড়ীর আবুল কালামের বখাটে ছেলে শিশির (২৫), সিয়াম (২০) সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন একই এলাকার ফয়েজ আহাম্মদের স্ত্রী সেলিনা বেগম ও তার ২ কন্যা ধর্ষনের চেষ্টা করে।

সেলিনা বেগম আদালতকে জানান তাহার স্বামী ঢাকা নারায়নগঞ্জে প্রাইভেট ফার্মে চাকুরী করে। মাঝে মধ্যে ছুটিতে বাড়ীতে আসে। তিনি তাহার ২ কন্যাকে নিয়ে বাড়ীতে থাকে। আসামী শিশির অত্যান্ত দুষ্ট প্রকৃতির সন্ত্রাসী ও নারী লোভী শ্রেণীর লোক হয়। আসামীগণের কোন সুনির্দিষ্ট পেশা নাই। এলাকায় মদ, গাজা বিক্রি সেবন এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করা তাহাদের একমাত্র নেশা ও পেশা হয়। বাদীনির স্বামী বাড়ীতে না থাকায় আসামীগণ বাদীনি ও তাহার ২কন্যাকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করিতে থাকে অবৈধ প্রস্তাব দিয়া থাকে। বাদীনির ২ কন্যা স্কুলে আসা যাওয়ার সময় আসামীগণ সহ তাহাদের ৪-৫ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজকে দিয়া অশালীন অঙ্গভঙ্গ বিশ্রি অশোভন কথাবার্তা বলে। আসামীগণ বাদীনির টিনের বসত ঘরের আশেপাশে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফিরা করে বাদীনি ও তাহার ২ কন্যাগণকে দেখিলে বিভিন্ন অশোভন কথা ও অঙ্গভঙ্গি করে।

গত কয়েক দিন আগে বাদীনির তাহার বসত ঘরের সামনে উঠানে কাজ করাকালীন আসামীগণ বাদীনিকে একা পাইয়া তাহার সহিত অবৈধ মিলামিলার করার প্রস্তাব দেয়। বাদীনি তৎক্ষনাত উত্তেজিত হইয়া আশেপাশের লোকজনকে ডাকিয়া আসামীগণের অন্যায় আচরনের প্রতিবাদ করে এবং বাদীনির আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার গন্যমান্য লোকজন উক্ত বিষয় আসামীগণকে ডাকিয়া সর্তক করিলে আসামীগণ বাদীনি ও তাহার স্কুল পড়–য়া কন্যাগনের উপর অত্যান্ত আক্রোশভাব পোষন করিতে থাকে আসামীগণ প্রকাশ্যে বলে যে কোন সময় বাদীনি ও তাহার ২ কন্যাকে ধর্ষন করিয়া প্রতিশোধ নিবে বলিয়া প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দেয়।

শুক্রবার রাত অনুমান ১.৩০ ঘটিকার সময় সেলিনা বেগম প্রকৃতির ডাকে বাহির হইলে আসামীগন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বাথরুমে বাহিরে ঘুরাফিরা করে থাকে। সেলিনা বেগম প্রাকৃতিক কাজে সারিয়া বাথরুম হইতে বাহির হওয়ার সাথে সাথে আসামী শিশির বাদীনির সেলিনা বেগমের সামনে আসিয়া বাদীনিকে সেলিনা বেগমকে ঝাপটে ধরিয়া বাদীনির শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়া ও বাদীনির কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া বাদীনিকে ধর্ষনের চেষ্টা করিতে থাকে।

আসামী শিশির জোরাজুরিতে বাদীনি সেলিনা বেগম মাটিতে পড়িয়া গেলে আসামী শিশির বাদীনির সেলিনা বেগমের বুকের উপর উঠিয়া বাদীনির কাপড়- চোপড়া টানা হেচড়া করিয়া অর্ধউলঙ্গ করিয়া বুকে, পিঠে, বাহুতে কিল, ঘুষি খামচি মারিয়া ও কামড়াইয়া ধর্ষনের চেষ্টা করে। ঐ সময় বাদীনি সেলিনা বেগমের শোর চিৎকার শুনে তাহার ২ কন্যা ঘুম ভেঙ্গে জাগিয়া ঘর হইতে বাহির হওয়ার সময় একই বাড়ীর সিয়াম (২০) একটি পিস্তল বাহির করিয়া তাহাদেরকে ধর্ষন ও খুন জখমের ভয় দেখায়।

বাদীনি ও তাহার কন্যাদের শোর চিৎকারে আশেপাশের লোকজনকও সজাগ হইয়া ঘটনাস্থলে আসিতে থাকিলে আসামীগন বাদীনি ও তাহার ২ কন্যাগনকে ধর্ষন করিতে না পারিয়া ঘটনাস্থল হইতে পালাইয়া যায়।

এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া ঘটনা দেখে ও বাদীনির সেলিনা শরীরের জখমের অবস্থা খারাপ দেখিয়া বাদীনিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে জানা যায়।

এই ঘটনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, নোয়াখালী আদালতে একটি নাঃ শিঃ মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত ।

 



মন্তব্য চালু নেই