এমএ পাস করতে চান ৯৫ বছরের ছাত্র

১৯৩৮ সালে আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন রাজকুমার বৈশ্য। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। কিন্তু সংসারের চাপে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া হয়নি। যদিও স্নাতকের দু’বছর পর আইনের উপর ডিগ্রি নেন তিনি।

সংসারের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তাকে চাকরি নিতে হয় বেসরকারি অফিসে। কাজের চাপেই আর এমএ পাস করা হয়নি। অথচ ইচ্ছা ছিল অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া।

ভারতের বিহার রাজ্যের বেরিলিতে জন্ম নেয়া রাজকুমারের বয়স এখন শতবছর ছুঁই ছুঁই। বর্তমানে স্ট্যান্ডে ভর দিয়ে চলাফেরা করতে হয় ৯৫ বছরের এ বৃদ্ধকে। কিন্তু লেখাপড়ার আগ্রহে এতোটুকু ভাটা পড়েনি। এই বয়সেও তিনি এমএ পাস করার ইচ্ছাটা পূরণ করতে চান। আসলে কথায় আছে না শিক্ষার আবার বয়স কি?

তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মেজো ছেলে আর পুত্রবধূ। সত্তরোর্ধ্ব ছেলে আর ষাটোর্ধ্ব পুত্রবধূ দু’জনও চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তাদের সহায়তায় রাজকুমার আবারো ছাত্র হিসেবে নাম লিখিয়েছেন নালন্দা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন পড়ালেখাও। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি যে তার চাই-ই চাই।

তবে আশার বিষয় হচ্ছে এখনো চশমা ছাড়া স্পষ্ট পড়তে পারেন রাজকুমার। এমএ পাসের পর তিনি গবেষণা করতে চান। অর্থনীতি নিয়ে পড়ার মূল কারণ, তিনি জানতে চান ভারত বর্ষে এখনো কেনো এতো দারিদ্র্য আর বেকারত্ব।



মন্তব্য চালু নেই