এমপিওভুক্তি না হওয়ায় চাটমোহরের ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তি না হওয়ায় পাবনার চাটমোহর উপজেলার ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৩টি মাধ্যমিক স্কুল ও ৮টি মাদ্রাসা। এছাড়া চলমান আরো ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পথে। এর মধ্যে ২টি কলেজ, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাদ্রাসা রয়েছে।

এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বাঁচার তাগিদে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন। অনেকে প্রমিক হিসেবেও কাজ করছেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মহেলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধুলাউড়ি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাঘলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কৃষ্ণপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, সোনাহারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, ভেংড়ি দাখিল মাদ্রাসা, হরিপুর মমিনাবাদ দাখিল মাদ্রাসা, জয়ঘর সমন্বিত দাখিল মাদ্রাসা, কাটেঙ্গা গোরস্থান দাখিল মাদ্রাসা, নারিকেলপাড়া মডেল এতিমখানা দাখিল মাদ্রাসা ও দোলং মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।

এদিকে দীর্ঘদিন পরিচালিত হলেও এখনও এমপিওভুক্তি হয়নি হান্ডিয়াল কলেজ, চলনবিল আদর্শ কলেজ,মহেলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, কদমতলী দাখিল মাদ্রাসা, নবীন-চরনবীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পবাখালী  মাধ্যমিক দ্যিালয়। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির আশা নিয়ে এখনও স্কুল-মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠাকালে এলাকার মানুষ জমি প্রদান করা ছাড়াও আনুসাঙ্গিক খরচের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করেন। জমিদাতারা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের চাকুরির ব্যবস্থা করেন। পাঠদানের অনুমতি পাওয়ার পর শিক্ষার্থী ভর্তি করে লেখাপড়া শুরু হয়। ১০ থেকে ১৫ বছর বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষক-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেন। অবশেষে আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ সকল প্রতিষ্ঠানে অনুদানও প্রদান করেন।

বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, সরকার প্রায় ২৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছে, বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের, অথচ তাদের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এ ব্যাপারে সরকারের সহানুভুতি কামনা করেছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইদুর রহমান জানান, আমি নতুন এসেছি, তবে শুনেছি বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী ছিল এবং ভালো ফলাফল করাসহ নিয়মিত ক্লাস হতো।



মন্তব্য চালু নেই