এমপির গাড়িবহরে আ.লীগ-যুবলীগের হামলা, আহত ১০

ফেনী-৩ (সোনাগাজী ও দাগনভূঞা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও জেদ্দা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী রহিম উল্যাহর গাড়ি বহরে ফের হামলা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। এতে সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন ও এক কনস্টেবলসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে অক্ষত রয়েছেন এমপি রহিম উল্যাহ।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা যাওয়ার পথে সোনাগাজী জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় এমপির গাড়ি বহরের একটি মাইক্রোবাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে জসিম, শুক্কুর ও হেঞ্জু নামে তিন জনের পরিচয় জানা গেছে। তাদের উপজেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে এমপি রহিম উল্যাহ জানান, এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে ঢাকায় যাওয়ার সময় শনিবার সন্ধ্যায় সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ১৫-২০ নেতাকর্মী পুলিশের উপস্থিতি তার গাড়ি বহরে হামলা করে। এতে সোনাগাজী থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিনসহ তার ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হন।

সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, ওসি মেজবাহ উদ্দিন ও এক কনস্টেবল মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কনস্টেবলের নাম জানাতে পারেননি তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফেনী সার্কিট হাউজে সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে যুবলীগ নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হন এমপি রহিম উল্যাহ। এরপর থেকে তার ওপর ধারাবাহিক হামলা শুরু হয়। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর সোনাগাজী যাওয়ার পথে লালপুল ও সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে তার গাড়ি বহরে হামলা করেন ছাত্রলীগ নেতারা।

এছাড়া ২০১৫ সালে ২১ এপ্রিল সোনাগাজী উপজেলার চরসাহাভিখারী গ্রামে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুলিশের গাড়িতে হামলা করে। একই বছরের ৯ মে সোনাগাজী উপজেলার এক হাজার ৪৫০ জন কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তা পণ্ড করে দেন। একইভাবে ২৯ মে সোনাগাজী জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগকর্মীদের হামলার শিকার হন এমপি রহিম উল্যাহ।



মন্তব্য চালু নেই