এমপি রানার মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হঠাৎ মিছিল

‘রানা ভাইয়ের কিছু হলে-জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘রানা ভাইয়ের মুক্তি চাই- দিতে হবে’, এসব শ্লোগানে হত্যা মামলার অভিযোগে কারাগারে আটক টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানার মুক্তির দাবিতে মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশের নেতারা। হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি রানার অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া না হলে টাঙ্গাইল জেলা অচল করে দেওয়া হবে, এমন হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করা হয় মিছিল থেকে।

শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়ে, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী রানার মুক্তি চেয়ে মিছিল করে। সভাপতির কার্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ থাকায় রানা সমর্থিত মিছিলটি ভেতরে ঢুকতে না পারলেও বাইরে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে মহড়া দেয় তারা। আছরের আজানের পরে এরা সেখানে জড়ো হয়। এরপর কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকলে এবং ভেতরে প্রবেশ করলে শ্লোগান তোলে টাঙ্গাইল থেকে আসা রানা সমর্থিত গ্রুপটি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় প্রায় ১০ জন নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মিছিলকারীরা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে প্রবেশে বাধা দেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন,‘ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে শিগগিরই।এ নিয়ে এলাকায় মত-বিরোধ আছে। মূলত কেন্দ্রকে তা অবহিত করতেই আমরা এখানে এসেছি ।’ তিনি বলেন, ‘এসময়ে কেউ কেউ এমপির মুক্তির দাবি করে মিছিল করেছে।’

গত ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসেনকে হত্যার দায়ে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য রানা অভিযুক্ত হন। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রানাসহ তার তিন ভাইকে অভিযুক্ত করে পুলিশ চার্জশিট দেয়। ৬ এপ্রিল ফারুক হোসেন হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তবে এর আগ থেকেই রানা পলাতক থাকেন। সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর রানা টাঙ্গাইলের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তা নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। রানা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। এরপরে বেশ কয়েক দফা জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে দেয় আদালত।



মন্তব্য চালু নেই