এমসিকিউয়ের ১০ নম্বর সৃজনশীলেই যাচ্ছে

২০১৭ সাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) ১০ নম্বর কামানো এবং সৃজনশীল অংশে ওই ১০ নম্বর যুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার সবিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

এর আগে ২০১৫ সালে ২০১৭ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ ১০ নম্বর কমনো এবং এই ১০ নম্বরের জায়গায় সৃজনশীল অংশ যুক্ত কারার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সৃজনশীল অংশে প্রশ্ন ও নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সম্প্রতি রাজধানীতে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনি শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শিক্ষাবিদরা এমসিকিউয়ে নম্বর কমানোর সিদ্ধান্তকেই আন্তর্জাতিক মানের বলে মতামত দিয়েছেন। তাই আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আগে প্রশ্নপত্র ও উত্তর পত্র এক সঙ্গে দেয়া হতো। আগামী বছর থেকে প্রশ্নপত্র দেয়ার ১৫ মিনিট আগে উত্তরপত্র দেয়া হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই এমসিকিউ প্রশ্নের নম্বর কমিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসির মতো বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, পরীক্ষা শুরুর আগেই এমসিকিউয়ের প্রশ্ন কোনো কোনো জায়গায় ফাঁস হয়ে যায়। পরীক্ষার হল থেকে ওই প্রশ্ন কোনো না কোনোভাবে বাইরে চলে আসছে।

এমসিকিউ হওয়ায় সহজে এর উত্তর মিলিয়ে আবার পরীক্ষার হলে চলে আসছে। আবার পরীক্ষার হলে দেখাদেখি করেও এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর মেলানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। এছাড়া এমসিকিউয়ের মাধ্যমে প্রকৃত মেধা যাচাই হয় না বলেও আলোচনা রয়েছে। এসব প্রেক্ষাপটে এমসিকিউয়ের নম্বর পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার আলোচনা চলছিল।



মন্তব্য চালু নেই