এরদোগানের চমকপ্রদ অজানা ১৫, যা জানলে চমকে যাবেন আপনিও

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। এছাড়াও তার অনেক পরিচয় রয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবারের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টা বানচাল করতে সক্ষম হন ইসলামপন্থী এই নেতা। তার সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক কিছু যেনে গেছেন বিশ্ববাসী। তবে এবার এমন ১৫টি বিষয় এখানে তুলে ধরা হলো, যা প্রায় অজানা। ppcorn.com এর প্রতিবেদন অবলম্বনে সেই সব তথ্য তুলে ধরা হল, যা জানার পর হয়তো আপনিও বিস্মিত হতে পারেন!

১৫. এরদোগানে ১৯৭৮ সালে বিয়ে করেন। প্রায় ৪০ বছরের বৈবাহিক জীবনে দুই মেয়ে এবং দুই ছেলের বাবা হয়েছেন। তার স্ত্রীর নাম এমিনি এরদোগান। তিনি চিত্তাকর্ষক! তিনি এবং তার স্ত্রী একসঙ্গে আছেন।

১৪. তিনি একটি আধা-পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। রাজনীতির জগতে পা ফেলার আগে এরদোগান একটি আধা-পেশাদার ফুটবল (সকার) প্লেয়ার ছিল!

১৩. তিনি খুব পোলারাইজিং ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং অত্যন্ত প্রশংসিত ব্যক্তি। তবে বিরোধীদের কাছে ধর্ম-নিরপেক্ষতা দমন করার চেষ্টা করার জন্য সমালোচিত। তিনি তুরস্কের অর্থনীতির উন্নতি ও রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।

১২. তিনি সামাজিক মিডিয়াকে ঘৃণা করেন। যদিও এবারের অভ্যুত্থান থেকে রক্ষা পেতে তিনি সোস্যাল মিডিয়ার লাইভ টেলিকাস্টকেই ব্যবহার করেন।

১১. তিনি দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতির সাথে জড়িত। এরদোগান, ১৯৮৪ সালে ওয়েলফেয়ার পার্টি বা কল্যাণ পার্টির মধ্য দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন এবং একটি জেলা প্রধান নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৪ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র হন এবং ২০১৪সাল থেকে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

১০. ওয়েলফেয়ার পার্টি নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রকাশ্যে ইসলামি কবিতা পাঠ করার জন্য তাকে চার মাস জেল খাটতে হয়। ধর্মীয় বিদ্বেষ উস্কে দেয়ার অভিযোগে সাজা দেওয়া হয় যদিও পাঁচ বছরের জেল।

৯. আগস্ট ১০, ২০১৪ সালে তুরস্কের প্রথম সরাসরি নির্বাচনে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

৮. এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষ নিয়ে বিতর্ক ছড়ানো হয়েছে। এরদোগান বলেছিলেন, নারীরা কখনওই পুরুষের সমকক্ষ হতে পারবে না। কারণ তাদের প্রকৃতি ভিন্ন।

৭. ২০১৪ সালে তিনি টুইটার ব্যান করতে চেয়েছিলেন।

৬. ১৯৫৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এরদোগান। তিনি মীন রাশির জাতক। এই রাশির জাতকরা সাধারণত ত্যাগী হয়।

৫. ১৯৭০-৮০’র সময়ে এরদোয়ান ইসলামিস্ট গ্রুপগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলো। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে, এর দ্বারা তিনি রাজনীতিতে প্রভাবিত কিনা, কিন্তু এর বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।

৪. ২০০১ সালের আগস্টে তিনি জাস্টিস ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) নামে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এই সাহায্যে ২০০৩ সালে তুরস্ক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।

৩. ২০১৩ সালের জুনে তুরস্কে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একটি পার্ককে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভ দেখা দেয়। বিক্ষোভের পর রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেন।

২. এরদোয়ান প্রবল ইহুদী বিদ্বেষী। ১৯৭৪ সালে তার লেখা এক নাটকে তিন ইহুদীদের শয়তান বলে আখ্যা দেন।

১. তিনি তিনটি দেশের সম্মনসূচক নাগরিত্ব লাভ করেছেন। দেশগুলো হলো- দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, এবং কসোভো।



মন্তব্য চালু নেই