এরশাদ কি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা বহন করেন, প্রশ্ন বিএনপির

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাম্প্রতিক একটি বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।আওয়ামী লীগ থেকে বলা হয়েছে, এরশাদের বয়স হয়েছে, তার এখন হাটা চলা করাই কঠিন। এই বয়সে তিনি কী থেকে কী বলেছেন বা বলেন, তার কোনো ঠিক থাকে না। তার কথা না ধরার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই বক্তব্যের পর বিএনপি থেকেও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে।

এরশাদের বক্তব্য ছিল সকাল ৯টার মধ্যে নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে। এরশাদের এই বক্তব্যের বরাত দিয়ে বিএনপি বলেছেন, তিনি কি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা বহন করেন? এরশাদ যেহেতু সরকারের অংশ, তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এরশাদের বক্তব্য পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

জাতীয় ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, পৌরসভা নির্বাচনও সেভাবে হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, জাতীয় ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, পৌরসভা নির্বাচনও সেভাবে হবে। এ বক্তব্যে বিএনপি শঙ্কিত।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, সকাল ৯টার মধ্যে নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে। তিনি কি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা বহন করেন? এরশাদ যেহেতু সরকারের অংশ, তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এরশাদের বক্তব্য পরিষ্কার করার দাবি করছি।

দুদু অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনার অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। সরকার দলীয় মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করছেন তারা। ইসি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। সরকারের নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। নির্বাচনী প্রচারণা কাজে যারা জড়িত তারা এলাকায় থাকতে পারছেন না। এভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই মাসে স্বাধীনতার ফয়সালা হয়েছিল। আমাদের আশঙ্কা হয় স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর আমরা কি গণতন্ত্র হারাতে বসেছি?



মন্তব্য চালু নেই