‘এরশাদ কোচবিহারের লোক, তাকে ওভাবে বাঙালি বলা যাবে না’

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, এরশাদকে ওভাবে বাঙালি বলা যাবে না। তিনি কোচবিহারের লোক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুবে আলম বলেছেন, জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্ক ছিল না। তিনি মানুষ হয়েছেন করাচিতে। তার চাকরি জীবন সেখানে। তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। পাকিস্তানি গোয়েন্দা বাহিনীর কাজই ছিল ভারতবিদ্বেষী মনোভাব ছড়ানো। বাঙালিকে বাপের নাম ভুলিয়ে দেয়ার মতো অবস্থা করা।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তারপর আসলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি কোচবিহারের লোক। তিনি আবার সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম জুড়ে দিয়েছেন। যা হোক পঁচাত্তর সালে এই ধরনের বাঙালি লোকেরা দেশ শাসন করেছেন। ৯৬-এর পরে আবার আমাদের বাঙালির পুনর্জাগরণ হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, তারা ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার করার চেয়ে তার আদর্শকে শেষ করার চেষ্টা করেছে। তারা ভেবেছে, বঙ্গবন্ধু যে আদর্শে আমাদের উজ্জীবিত করেছেন, তাকে শেষ করার পর সেই আদর্শটা শেষ হয়ে যাবে। তারা অনেকটা সার্থক হয়েছিল।

মাহবুবে আলম আরো বলেন, ৭৫ সালের পর যারা দেশ শাসন করেছে, তাদের বাঙালি বলা যাবে না। একাত্তরে যে সংস্কৃতিতে উজ্জীবিত হয়েছিলাম, তার বিপরীতমুখী ছিলেন মোশতাক ও জিয়া।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, সাবেক বিচারপতি মুনসুরুল হক চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রাক্তন সভাপতি এএফএম মিসবাহ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শ ম রেজউল করিম, ঢাকা ইউনিভার্সিটি লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



মন্তব্য চালু নেই