এশিয়ার প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাসেও কাটছাঁট বিশ্বব্যাংকের

পূর্বাভাসের তুলনায় এশিয়ার প্রবৃদ্ধি আরও কম হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক দেশ চীনের অর্থনীতিতে ধীরগতি দেখা দেওয়ায় এবং আমেরিকার সুদের হার বাড়ানোর কারণে প্রবৃদ্ধির হার আগের ধারণার তুলনায় কম হবে বলে মনে করছে এ সংস্থাটি। সূত্র বিবিসি।

বিশ্বব্যাংকের মতে, চলতি ২০১৫ সালে পূর্ব এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে এর হার হবে ৬.৪ শতাংশ। এর আগে সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

গত বছর এসব অঞ্চলে ৬.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল।

অবশ্য শুধু বিশ্বব্যাংকই নয়, গত মাসে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) চলতি ২০১৫ সালে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৫.৮ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর পক্ষ থেকেও প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার বিশ্বব্যাংকের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ সুধির শেঠী এক বিবিৃতিতে বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক দেশ চীনের অর্থনীতিতে ধীরগতি এবং অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাসে আমেরিকার সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, যদি চীনের অর্থনীতির গতিতে আরও ধীরগতি দেখা দেয় তাহলে এর প্রভাব অন্যসব দেশেও পড়বে। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে যেসব দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং পর্যটন সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশসমূহে তার প্রভাব পড়বে বেশি।

এদিকে চীনের অর্থনীতির গতি আরও কমবে বলেই আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির মতে চলতি বছরে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৯ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে তা হবে ৬.৭ শতাংশ। এর আগে চীনের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৭.১ শতাংশ ও ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল এটি।

এদিকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমেরিকার সুদের হার বাড়ানোর বিষয়টি কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় এক দশক পর সুদের হার বাড়াতে যাচ্ছে দেশটি। সুদের হার বাড়লে পুঁজিবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ পুঁজি প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটবে এতে এশিয়ার দেশসমূহের মুদ্রায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।



মন্তব্য চালু নেই