এশিয়ার প্রভাবশালী নারী মেয়রদের তালিকায় আইভী

এশিয়ার প্রভাবশালী নারী মেয়রদের তালিকায় নাম এসেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রভাবশালি সাময়িকী দ্য এশিয়ান সোমবার (১ আগস্ট) প্রকাশিত সংখ্যায় এশিয়ার ২০ নারী মেয়রের নাম প্রকাশ করে, যে তালিকায় আইভি আছেন সাত-এ। তালিকায় ২০ নারী মেয়রের জীবনবিন্তান্তের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাও দেয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিতে ডা. সেলিনা হায়াত আইভী হন দেশের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত নারী মেয়র। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ও একই শহরের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলী আহমেদ চুনকার জ্যেষ্ঠ সন্তান ডা. আইভী। ২০১১ সালে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী শামিম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হন এ চিকিৎসক। ওই বছরের ডিসেম্বরে দেশের প্রথম নারী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। ‘সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ’ সমর্থন দেয় এ নারী প্রার্থীকে। নির্বাচিত হন বিপুল ভোটের ব্যবধানে।

সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভার্জিনা রাগী হলেন রোমের প্রথম নারী নির্বাচিত মেয়র। তিনি ৬৭ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন এবং রোমের সিটি হল থেকে ‘বৈধতা এবং স্বচ্ছতা’ ফেরাতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

সাময়িকীর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের মেয়রদের ৫ শতাংশেরও কম নারী। একইভাবে বিশ্বজুড়ে স্থানীয় কাউন্সিলদের মাত্র ২০ শতাংশ নারী।

সংক্ষিপ্ত পরিচিতিতে বলা হয়, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ১৯৬৬ সালের ৬ জুন নারায়ণগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। মাতা-মমতাজ বেগম ও পিতা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকা। চুনকা পরিবারের ৫ সন্তানের মধ্যে ডা. আইভী সবার বড়।

চিকিসাবিজ্ঞানের এ শিক্ষার্থী প্রয়াত বাবার আদর্শের পথেই ফেরেন রাজনীতিতে। উচ্চ শিক্ষা নিতে ১৯৮৬ সালে বৃত্তি নিয়ে যান তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ওদেসা নগরের পিরাগভ মেডিকেল ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়া শেষে দেশে ফেরেন।

বাবা প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকা ছিলেন নারায়নগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি। স্বাধীনতার পর দু’দুবার (১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ হতে ১৯৭৭ সালের ৯ মার্চ এবং ১৯৭৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হতে ১৯৮৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান নারায়ণগঞ্জ পৌর চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের এ নেতা আলী আহাম্মদ চুনকা। ১৯৭৪ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের মাত্র ১৭ দিন আগে নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে জেতেন নারায়ণগঞ্জ পৌর নির্বাচনে।



মন্তব্য চালু নেই