এসএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল ৮ জুন

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সর্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল ৮ জুন প্রকাশ করা হবে।

বোরবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহবুবুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, এ বছর ২৯টি বিষয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯১৮টি উত্তরপত্রের ফল পরিবর্তনের আবেদন জমা পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এরই মধ্যে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ৮ জুন ফল প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য মতে, শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছে ইংরেজি প্রথম পত্রে। এই আবেদনপত্র ১৪ হাজার ১৫৪টি। এরপর ক্রমান্বয়ে আবেদনের সংখ্যা ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ১৪ হাজার, গণিতে ১২ হাজার ৮০৬, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ১১ হাজার ৩১৬, বাংলা প্রথম পত্রে ১০ হাজার ৪৫৮, বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ১০ হাজার ৪৫৮, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায় ৯ হাজার ৫৫৪, রসায়নে ৭ হাজার ৩০৭, জীববিজ্ঞানে ৫ হাজার ৬০। মাত্র ১টি আবেদন করা হয়েছে বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায়। ব্যবসায় উদ্যোগে ২ এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ে আবেদন করেছে ৪ জন।

গত ১১ মে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৮.২৯ শতাংশ। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। ১২ থেকে ১৮মে পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনপত্র গ্রহণ করে শিক্ষা বোর্ড।

ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী ৭-৮টি বিষয়ে এ-প্লাস গ্রেড পেয়েছে, কারো দুটি বা একটি বিষয়ে অনাকাঙ্খিত ফল এসেছে তারা এসব বিষয়ের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য বোর্ডে আবেদন করে। এমন এক শিক্ষার্থী তাসনিম। তার অভিযোগ, ভালো পরীক্ষা দিয়েও কাঙ্খিত রেজাল্ট জিপিএ-৫ পায়নি সে।

তার বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে শেষ পর্যন্ত ক্লাসে ফার্স্ট ছিল। প্রতিটি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। এমনকি প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষায় তার তিনটি বিষয়ের ফল খারাপ এসেছে। পদার্থবিজ্ঞানে সবচেয়ে ভালো পরীক্ষা দিলেও এ বিষয়ে সে ‘এ’ মাইনাস পেয়েছে। গণিত ও বাংলায় এসেছে ‘এ’ গ্রেড। মোবাইল ফোনে এসএমএস করে ফল চ্যালেঞ্জ করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই