এসপি’র স্ত্রী হত্যা : পুলিশের হাতে ভিডিও ফুটেজ

চট্টগ্রামের আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করতে দুর্বৃত্তরা সময় নিয়েছে মাত্র ৫০ সেকেন্ড। এই সময়ের মধ্যেই মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে তিন হত্যাকারী নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে সক্ষম হয়।

ওই হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাকারীদের পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে জিইসি মোড়ের ওয়েল ফুড সেন্টার সংলগ্ন কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। এসব সিসিটিভি ফুটেজ এখন পুলিশের হাতে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে কয়েকটি সিসিটিভির ফুটেজ ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ফুটেজে দেখা গেছে, নগরীর গোল পাহাড়ের দিক থেকে ছেলেকে স্কুলের গাড়িতে তুলে দিতে ব্যস্ততম জিইসি মোড় সংলগ্ন ওয়েল ফুড সেন্টারের সামনে আসছিলেন মিতু। হেঁটে আসার সময় তিনি ছেলের হাত ধরে ছিলেন। এই সময় জিইসি মোড়ের অপর প্রান্ত থেকে মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক এসে ইচ্ছাকৃতভাবে মিতুকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দেয়। এক যুবক তাকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে। আরেক যুবক গুলি করে। পরে তারা মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পুরো এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে দুর্বৃত্তরা সময় নিয়েছে মাত্র ৫০ সেকেন্ড।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘাতকদের আনুমানিক বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর। মোটরসাইকেলে আসা তিনজনের মধ্যে যে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল, তার মাথায় হেলমেট ছিল। মোটরসাইকেলে সবার পেছনে বসা একজনের হাতে পিস্তল এবং মাঝখানে বসা যুবকের হাতে ছিল ছুরি।

সিসিটিভি ফুটেজে তিন যুবককে দেখা গেলেও তাদের চেহারা স্পষ্ট নয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

sp ctg 2

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ খান রাইজিংবিডিকে জানান, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গিদের দ্বারা সংঘটিত আগের হত্যাকাণ্ডগুলোর মিল আছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। খুনিদের ধরতে ইতিমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। খুনিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে র্যা ব, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআইয়ের ১০টি টিম ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে।



মন্তব্য চালু নেই