ঐক্যে আসুন, জামায়াতের ‘ব্যাপারটা’ দেখা যাবে

সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে বিএনপির চেয়ারপারসন জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা সবাইকে নিয়েই জাতীয় ঐক্যের কথা বলছি। সেখানে জামায়াতে ইসলামীকে অল্টারনেটিভ করার চেষ্টা করছেন কেন? এ বিষয়ে আলোচনা যখন শুরু হবে, তখন এটা দেখা যাবে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্য গঠনে জামায়াতকে নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্য গঠনে গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের লোকজন জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে বিএনপি চেয়ারপারসনকে পরামর্শ দিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির কাছে জামায়াত বড় ইস্যু নাকি জাতীয় ঐক্য বড়?, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটাকে অল্টারনেটিভ করার চেষ্টা করছেন কেন? আমরা সবাইকে নিয়েই জাতীয় ঐক্যের কথা বলছি। এ বিষয়ে আলোচনা যখন শুরু হবে, তখন এটা দেখা যাবে। তখন দলে এটা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয় হবে।’

এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা রাজাকার-স্বৈরাচারকে নিয়ে সরকার গঠন করে যখন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বলে, তখন আপনারা তাদের প্রশ্ন করতে পারেন না?’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়তে খালেদা জিয়াকে আহ্বান জানানো হয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, ‘উনাকে (খালেদা জিয়া) জামায়াত ছাড়তে বলেছি। এখন এর বেশি কিছু বলব না।’

বৈঠকে জামায়াতের বিষয়টা উঠেছে জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বলেছি, জামায়াতের পিতৃপুরুষেরা যে অন্যায় করেছে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তার জন্য তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে বর্তমানে যারা আছে, আমার পরামর্শ হলো-তাদের দলীয়ভাবে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তারা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বিশ্বাস করে, সেটা পুনরায় উল্লেখ করবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত করবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের মনোভাব কী বুঝলেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, উনিও মনে করেন এটি (জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমা চাওয়া) যুক্তিসঙ্গত।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হারুন-অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, যুবদলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক কাজী রফিক, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই