তদন্ত কমিটির বৈঠক আজ

ওমরা হজ্বের নামে মানব পাচার

ওমরার নামে মানবপাচারের ঘটনায় গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি আজ মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে। কমিটি গঠনের পর এটি তাদের প্রথম বৈঠক। ধর্মমন্ত্রণালয়ে সকাল ১১টার দিকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে ওমরার নামে মানবপাচারের ঘটনায় জড়িত হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তকাজের পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে এই বৈঠকে।

এর আগে সোমবার ওমরা হজের নামে মানবপাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে ধর্মমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. শহিদুজ্জামানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ধর্মমন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (হজ) নাসির উদ্দিন আহমেদকে করা হয়েছে এ কমিটির সদস্য সচিব। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কাজী নাজির হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের একান্ত সচিব (পিএস) ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নায়েব আলী ম-ল।

আন্তঃমন্ত্রণালয়ের গঠিত এ কমিটিকে দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত বিষয়ে কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. শহিদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে বসব। অভিযোগ পর্যালোচনা করে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

সূত্র জানায়, ওমরার নামে মানবপাচারের অভিযোগে গত ২২ মার্চ থেকে বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। এই অভিযোগে মানবপাচারে জড়িত থাকার অপরাধে নিজ দেশের সাত এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করে সৌদি সরকার। পরে তারা বাংলাদেশের ১০৪ এজেন্সির বিরুদ্ধে ওমরার নামে মানবপাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায়। এসব এজেন্সির মাধ্যমে প্রায় ১১ হাজার ৪৮৫ ব্যক্তি ওমরা শেষে আর দেশে ফেরেনি বলেও তথ্য দেওয়া হয়। ১০৪ এজেন্সির মধ্যে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর প্রভাবশালী নেতার মালিকানাধীন এজেন্সিও অভিযুক্ত।

জানা গেছে, এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে যাতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দেয় সৌদি সরকার। সুনির্দিষ্টভাবে ১০৪টি এজেন্সির তালিকাও ধর্মমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ১৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু ধর্মমন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সম্প্রতি পত্র পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনার পরপরই সোমবার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই