‘ওলামা লীগের ওপর অ্যাকশন নিবে প্রশাসন’

আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওলামা লীগ নামে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুব আলম হানিফ। তিনি বলেন, এটা নিয়ে এত কথা বলার কিছু নেই। প্রশাসনকেও বলে দেওয়া হয়েছে অ্যাকশন নিতে।

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল ফেসবুকে স্টাটাসে লিখেন, ওলামা লীগ! এটা কী খায় না মাথায় দেয়? পহেলা বৈশাখ এর বিরুদ্ধে যারা বলে তারা আওয়ামী লীগের কেউ না, দায়িত্ব নিয়ে বলছি। শেখ হাসিনা প্রথম সরকার প্রধান যিনি বৈশাখী ভাতা চালু করেছেন| যে সব অতি বিপ্লবী বঙ্গবন্ধুর দল মুসলিম লীগ হয়ে গেছে বলে নাকি কান্না জুড়ে দিয়েছেন তারা দয়া করে থামুন| এদেশ, বাঙালি সংস্কৃতি এবং মানুষের জন্য শেখ হাসিনার দরদ আমার আপনার চেয়ে কম নয়।

মাহবুবুব আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী বলেন, ক্ষমতায় থাকলে মানুষ কত কিছু বলবে। যারা ভুঁইফোড় নেতা তারাই আমাদের সমালোচনা করছেন। যখন আওয়ামী লীগের দুর্দিন সেসময় হানিফ সাহেব কোথায় ছিলেন? আমরা রাজপথে ছিলাম। আন্দোলন করেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি। তখন আব্দুর রাজ্জাক, ওবায়দুল কাদেরসহ অনেক নেতা আমাদের মূল্যায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে নিয়ে খাইয়েছেন। দল এখন ক্ষমতায় বলে বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কত লোক কোটি টাকা কামাচ্ছে।’

তিনি বলেন, স্বর্ণ দিয়ে বাঁধালেও ওলামা লীগের মূল্যায়ন শেষ হবে না। আমরা মুসলমান হিসেবে কথা বলেছি। পহেলা বৈশাখে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো, উলুধ্বনি দেওয়া, শাঁখ বাজানো, মঙ্গল কলস সাজানো, ঢাক-ঢোলের ব্যবহার, মুখোশ পরে শোভাযাত্রা, মুসলিম মহিলাদের সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়া বিধর্মীদের কাজ এসব বলেছি। এগুলো করলে আওয়ামী লীগের ভোট কমবে, এজন্য বলেছি।

জানা গেছে, পহেলা বৈশাখকে অপসংস্কৃতি উল্লেখ করে এই দিবসে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং আর্থিক সহযোগিতা বন্ধের দাবি জানিয়ে শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী ওলামা লীগ। এছাড়াও সংগঠনটি বর্তমান শিক্ষানীতিকে ধর্মহীন উল্লেখ করে শিক্ষা আইন বাতিলসহ ১০ দফা দাবি জানায়। এর পরই শুরু হয় সমালোচনা।



মন্তব্য চালু নেই