ওসিদের ওপর ক্ষুব্ধ পুলিশ সদরদফতর

গোয়েন্দা নজরদারির ব্যর্থতার কারণে দেশের থানাগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে পুলিশ সদরদফতর। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়া এবং হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আগাম কোনও গোয়েন্দা তথ্য না পাওয়ায় ওসিদের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের জন্য পুলিশপ্রধান দেশে ফিরলে ৯ জুন পুলিশের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার পুলিশ সদরদফতরে অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ওসিদের দায়িত্ব পালনের ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত এক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসিদের দায়িত্বের বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। একটি থানা এলাকা এখন খুব বড় নয়। প্রতিটি থানায় অফিসার বাড়ানো হয়েছে। তারপরও কোনও গোয়েন্দা তথ্য থাকে না। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) উপপরিদর্শক (এসআই) ও পরিদর্শক মিলে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৩ জন কর্মকর্তা থাকেন প্রতিটি থানায়। অথচ তারা এলাকা সম্পর্কে কোনও ধারণাই রাখেন না। তাই তাদের দায়িত্ব পালন নিয়ে কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।’

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

গত রবিবার চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খান মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নাটোরে খুন হন এক খ্রিস্টান ব্যবসায়ী। এরপরই দ্রুত এই বৈঠক করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই