মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের রচনা নিষিদ্ধ

কওমীর বিকৃত ইতিহাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

সংবিধান লংঘন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে অবমাননা করে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের রচনায় কওমী মাদ্রাসার বিকৃত ইতিহাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)।

সংগঠনের সভপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন কওমী মাদ্রাসার বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষ সম্ভ্রমহানী নারী মুক্তিযোদ্ধা, জাতির জনক, স্বাধীনতার ঘোষনা এবং জাতীয় সংগীত নিয়ে যে বিকৃত ইতিহাস বেফাক’এর ২০ লক্ষ শিক্ষার্থীদের শিখানো হচ্ছে তা ভবিষ্যত জাতি গঠনে ভয়ঙ্কর ভাবে দ্বিধাবিভক্তি তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালের ২১ জুন হাই কোর্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক এবং যারা এরকম ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িত তারা সংবিধান লংঘন করেছে রায়ে বলা হলেও কওমী মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ইতিহাস বইয়ে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম’ প্রবন্ধে জিয়াকে স্বাধীনতার ‘ঘোষক’ বলা হয়েছে এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বা বঙ্গবন্ধু হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহীদ হয়েছেন সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই।

কবীর চৌধুরী তন্ময় আরও বলেন, অন্যদিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত প্রয়াত অধ্যাপক আখতার ফারুক, ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, নাট্যকার আশকার ইবনে শাইখ ও ড. আশরাফ সিদ্দিকীর মতন লেখক-সাহিত্যিকদের প্রণীত পাঠ্যগ্রন্থ ও রচনাগুলো রেখেই কওমী মাদ্রাসার নতুন সিলেবাস প্রণয়নে ইসলামি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ যে পরামর্শ দিয়েছে তা অত্যান্ত দুঃখজনক এবং সংশ্লিষ্টদের দূর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।

বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) এর ২০ লক্ষ শিক্ষার্থীর মাঝে মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাস উপস্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের রচনা নিষিদ্ধ করার জন্য সরকার ও বেফাক কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।



মন্তব্য চালু নেই