কক্সবাজারের উখিয়ায় হিজলিয়া খালের ভাঁঙ্গন তীব্র: বসত ঘর, সংযোগ সড়ক বিলীন

কক্সবাজারের উখিয়ার হিজলিয়া খালের ভাঙ্গঁন তীব্রতর হয়ে উঠছে। বছরের পর বছর পলি জমে ভরাট হওয়ায় বর্ষাকালে বৃষ্টি ও ঢলের পানি প্রবাহ বিঘিœত হয়ে বর্ষা মৌসুমে এ খালের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হচ্ছে স্থানীয়দের সহায় সম্পদ, রাস্তা ঘাট, ঘর-বাড়ী। সম্প্রতি অতিবর্ষন ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে বিলীন হয়ে পড়েছে কোটবাজার- পূর্ব পাইন্যাশিয়া ফুট ব্রিজের সংযোগ সড়ক, কোটবাজার-তুতুরবিল সড়কের খাল পাড়ের বিস্তীর্ণ গ্রামীণ সড়ক, খাল পাড়ের পূর্ব পাইন্যাশিয়া গ্রামের তিনটি বসত ঘর ও ভিটা।

সরজমিনে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমারের ওয়ালিদং পাহাড় থেকে নেমে আসা হিজলিয়া খালের রতœাপালং, রাজাপালং ও জালিয়াপালং ইউনিয়নের অনেকাংশে নতুন নতুন এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। রতœাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রতœা গ্রাম ও জালিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব পাইন্যাশিয়া গ্রামের সংযোগ সড়কের রেজু খালের উপর স্থাপিত ফুট ওভার ব্রিজের পশ্চিমাংশ পূর্ব পাইন্যাশিয়ার অংশের পাকা সংযোগ সড়কের একাংশ বিলীন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় পূর্ব পাইন্যাশিয়া গ্রামের উদয় বড়–য়া, বাহাদুর আলম, দিনেশ বড়–য়া সহ গ্রামবাসীরা জানান, বর্ষার পূর্বে খাল ও সড়কের ভাঙ্গনের গতি পরিবর্তনের আশংকা করে এলাকাবাসী প্রায় ৫ মাস পূর্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যকে ভাঙ্গন প্রতিরোধ পূর্বক গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বিলীনের কবল থেকে রক্ষার আবেদন করা হয়েছিল। সে সময় জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হলে স্বল্প ব্যয়ে খালের তীব্রতর ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও সড়কটি রক্ষা করা সম্ভব হতো। কিন্তু কেউ তাদের আবেদনের সাড়া দেয়নি।

ফলে সম্প্রতি অতিবর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের তোড়ে যখন সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, তখন সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি অন্যান্যরা এসে বিলীন হওয়ার সড়ক ও ফুটওভার ব্রিজ রক্ষা ও সংস্কারের জন্য সাংসদ তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। অথচ এগুলোর আপাতত সংস্কার করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী জানান। ফুটওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে পূর্ব পাইন্যাশিয়া গ্রামের খাল পাড়ের শামসুন নাহার, বাহাদুর আলম ও প্রকাশ বড়–য়ার এক মাত্র সহায় সম্বল বসত ঘর ও ভিটে টুকু খালের গর্ভে হারিয়ে বর্তমানে প্রতিবেশীদের ঘরের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছে। তারা জানায় আমাদের যে সামান্য বসত ভিটা ও সহায় সম্বল ছিল তা ইতি মধ্যে খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব জানি না। এ ব্যাপারে জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদে খালের ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও সড়ক সংস্কার করে গুরুত্বপূর্ণ ফুটওভার ব্রিজটি সহ স্থানীয় বসতি রক্ষার জন্য বলা হয়েছে। তবে উপজেলা প্রকৌশলী ও ত্রান বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পদ শূণ্য থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই