কক্সবাজারে শিশুবান্ধব ইউনিয়ন পরিষদ নিশ্চিতকরণ সংলাপ

নির্বাচনে বিজয়ী হলে এলাকার কি কি উন্নয়ন করবেন, শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কি ভূমিকা রাখবেন, কেমনই বা হবে আপনার নির্বাচনী ইশতিহার? এমন বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে শিশুদের মুখোমুখি হলেন কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা।

আজ ৯ মে সোমবার দুপুরে খুরুশকুল উপমা মহিলা সমিতি প্রাঙ্গনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

‘শিশুবান্ধন ইউনিয়ন পরিষদ নিশ্চিতকরণ’ বিষয়ে আয়োজিত শিশু ফোরামের এই সংলাপে দাবী তোলা হয়, নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিটি কার্যকরণ এবং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করণ, শিশু সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমে শিশুদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করণ, ইউপি বাজেটে শিশুদের জন্য বরাদ্দ ও তা বাস্তবায়ন, শতভাগ শিশুর জন্মনিবন্ধন কার্যকর করা।

তাছাড়া বাল্য বিবাহমুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ঘোষনা করার জন্য কি কার্যকর ভুমিকা রাখবেন তা জানতে চাওয়া হয় ওই সংলাপে। আর শিশুদের এসব খোলামেলা প্রশ্নের জবাব দেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাস্টার আব্দুর রহিম ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জসিম উদ্দিন জসিম। একই সাথে তারা নির্বাচিত হলে জনগণের জন্য কেমন কাজ করবেন তাও তুলে ধরেন দ্বিপাক্ষিক এই সংলাপে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার আব্দুর রহিম তার বর্তমান পরিষদের কর্মকান্ডের চিত্র শিশুদের সামনে তুলে ধরেন। পাশাপাশি নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারী নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। একই সাথে খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদকে ‘মডেল ইউনিয়ন’ হিসাবে সুনাম ধরে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শিশুদের সাথে সংলাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন জসিম নির্বাচিত হলে পাড়া মহল্লায় ‘শিশুসেল’ পথশিশুদের জন্য পূনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। বাল্যবিবাহ শতভাগ নিয়ন্ত্রণের কথাও জানান চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন। প্রার্থীরা দ্বিপাক্ষিক এই সংলাপে প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো নির্বাচনী ইসতেহারে আনার অঙ্গীকার করেন।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে সংলাপে সম্পূরক বিষয়ে শিশু অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন)’র বার্তা সম্পাদকও দৈনিক বাঁকখালীর মফস্বল সম্পাদক ইমাম খাইর।

তিনি শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য বিনোদনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, শিশু পার্লামেন্ট ও শিশুদের জন্য উম্মুক্ত বাজেটের প্রস্তাব দেন।

শিশু ফোরাম’র সভাপতি জয়দেব পাল এর সভাপতিত্বে সভায় জানানো হয়, ২০১০ সালে কক্সবাজারে শিশু ফোরাম প্রতিষ্ঠিত হয়।

৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট ৭টি শিশু ফোরাম ও ১টি কেন্দ্রিয় শিশু ফোরামে ৬৫৯ জন শিশু সদস্য রয়েছে।

তারা শিশু অধিকার রক্ষা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, শিশুর নেতৃত্ব বিকাশ ও শিশুর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে।

আন্তর্জাতিক ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কক্সবাজার এডিপি’র আয়োজনে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন এডিপি ম্যানেজার রোনান্ড প্রবীর চিসিক চাইল্ড প্রটেকশন এবং টিম লিডার লরেন্স ফলিয়া, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, প্রজেক্ট অফিসার (স্বাস্থ্য) মাঈনুল ইসলাম, প্রজেক্ট ম্যানেজার (এডুকেশন) বেকী ত্রিপুরা, সিবিও লিডার বকুল প্রভা, রুবি রুদ্র ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।



মন্তব্য চালু নেই