কক্সবাজার সৈকত দেখে মুগ্ধ তারা

বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য ও কক্সবাজারের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করলেন বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থা ইউএনডব্লিউটিও’র সেক্রেটারি জেনারেল তালিব রিফাইসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটনমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘বৌদ্ধ পর্যটন সার্কিট উন্নয়ন’ বিষয়ক দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে ইউএনডব্লিওটিও’র প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ১৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার সফরে এসে সমুদ্র সৈকত দর্শনে যান বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে।

সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থান করে সূর্যাস্ত ও প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য অবলোকন করেন। অবিরত ঢেউ আর সাগরে সূর্যাস্ত দেখে পুলকিত তালিব রিফাইও জানালেন, এ ভালো লাগা ভুলবার নয়।

এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন স্পটগুলো অনেক সুন্দর। বিশেষ করে বিশ্বের দীর্ঘতম ১২০ কিলোমিটার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সৌন্দর্য পিপাসু যে কাউকে মুগ্ধ করবে। এখানকার পর্যটন শিল্পকে বিকাশিত করার লক্ষ্যে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের অংশীদার হতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় প্রতিনিধি দলকে স্বাগত ও ফুলের শুভেচ্ছা জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দুইদিনের কক্সবাজার সফরে তারা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও রামুর রাংকূটসহ সেখানকার বৌদ্ধদের ঐতিহ্যবাহী অন্য স্থাপনাগুলোও পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে রামুতে অবস্থিত বৌদ্ধদের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো পরিদর্শনে যাওয়ার কথা সফরকারী প্রতিনিধি দলের। পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে বিমান বাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে তারা ঢাকায় ফিরবেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী ছাড়াও প্রতিনিধি দলে আছেন চীনের পর্যটন সংস্থার ডাইরেক্টর লাই কোওয়ানগো, কম্বোডিয়ার পর্যটন মন্ত্রী টপ সোফেক, ভারতের পর্যটন সংস্থার রিজিওনাল ডাইরেক্টর শ্রীভেন্ট সঞ্জয়, ভূটানের পর্যটন মন্ত্রী লিয়নপো নরভো ওয়াংচুক, আফগানিস্তানের পর্যটন মন্ত্রী আব্দুল বারী জাহানী, ভিয়েতনামের ডাইরেক্টর জেনারেল তারান দিনহ তানহ, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহিম ওরাজ, নেপালের রাষ্ট্রদূত আমপেমা চোডেন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অরূপ চৌধুরী, ডাইরেক্টর ড. নাছির উদ্দিন, টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি সোহরাব হোসেন, ইউএনডব্লিউটিও’র ডাইরেক্টর জিং জু এবং এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জুনচি জ্যাক কামাডা।



মন্তব্য চালু নেই