কখন বুঝবেন চাকরিটা ছেড়ে দেওয়া উচিত?

বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ চাকরি করে। কিন্তু সেই চাকরিই যদি মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সে সুস্থভাবে বাঁচবে কী করে বলুন?

এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের কর্মস্থলের পরিবেশ ভালো না। তবু চাকরি করতে হবে বলে চাকরি করে যাচ্ছেন। এঁরা ব্যক্তিগত জীবনেও এই চাকরির জন্য অসুখী। তাই আপনাকেই ঠিক করতে হবে, চাকরিটা আপনি করবেন নাকি করবেন না।

এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট আইডিভা-তে। একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।

১. অনেক বছর হলো আপনি একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। অথচ আপনি এখনো একই পদে বহাল আছেন। আর আপনার পরে এসে কারো কারো অনেক দ্রুত পদোন্নতি হয়েছে। তাঁদের বেতনও বেড়েছে। এগুলো দেখার পর আপনার অবশ্যই চাকরিটা ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ এতদিনে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে, এই প্রতিষ্ঠানে যতই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করুন আপনার আর পদোন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

২. বসের সঙ্গে কোনোভাবেই আপনি আর পারছেন না। আপনার সবকিছুতেই তিনি নেতিবাচক কথা বলেন। এ ধরনের বসের সঙ্গে কাজ করলে আপনার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হবে। এমনকি কর্মক্ষমতাও দিন দিন কমে যাবে। তাই যেসব বস ইতিবাচক কথার থেকে নেতিবাচক কথা বেশি বলেন, তাঁর সঙ্গে কাজ না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৩. এখন আর এই কাজে আগ্রহ খুঁজে পান না। একঘেয়েমি ভাব চলে আসছে আপনার মধ্যে। এমনটা মনে হলে নতুন কোনো চাকরি খুঁজে নেওয়া উচিত আপনার। কারণ কাজ করার মধ্যে যদি আনন্দ খুঁজে না পান তাহলে সেখানে কখনোই উন্নতি করতে পারবেন না।

৪. সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই। আপনার আড়ালে সবাই আপনাকে নিয়ে কথা বলে। এটা বোঝার পর এই চাকরি করাটা আপনার জন্য ঠিক হবে না। তবে যদি এর থেকে ভালো চাকরি খুঁজে না পান তাহলে চুপচাপ এখানে কাজ করাই ভালো। কারণ চাকরি ছাড়ার জন্য এটা খুব একটা বড় কারণ না।

৫. আপনি প্রতিদিন বাসায় ফিরে যদি পরিবারের কাছে অফিসের বদনাম করতে থাকেন, তাহলে বুঝে নেবেন এই চাকরি আপনার জন্য সুখকর নয়। কারণ এটি আপনার পারিবারিক সুখও নষ্ট করছে। আর ব্যক্তিগত জীবনে সুখে থাকতে চাইলে কর্মক্ষেত্রেও আপনাকে সুখী হতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই