কথায় কথায় বহিষ্কার করবেন না

বিএনপি-জামায়াত জোট ঠেকাতে নির্বাচন হালকাভাবে নিলে চলবে না। তাই যারা দলীয় নির্দেশ না মেনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন তাদের বুঝিয়ে দলে ভেরানোর পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘কথায় কথায় বহিষ্কারের কথা বলবেন না।’

শনিবার দুপুর ১টায় শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালার মহড়া কক্ষে হোসেন শাহীদ সোহরাওয়ার্দ্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জামায়াত অনিবন্ধিত একটি উগ্র জঙ্গিবাদী এবং যুদ্ধাপরাধীদের দল। বিএনপি-জামায়াত জোট যতদিন থাকবে ততদিন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি হুমকি হয়ে থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যারা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ মানে নাই তাদেরকে বুঝান, তৃণমূলে যান, বুঝালেই বুঝবে। এতে দলের বিশৃঙ্খলা অনেক কমে যাবে। নির্বাচনে আমাদের দলের জয়লাভ হতে সহজ হবে।’

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরি ও মুজাহিদ যুদ্ধাপরাধ স্বীকার করে ৪৯ ধারায় প্রাণভিক্ষা চেয়েছে। আমরা মনে করলাম, এ থেকে বিএনপি শিক্ষা গ্রহণ করবে। জামায়াতকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসবে। আমরা মনে করিনা বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের দল। তারপরও বিএনপি জামায়াতের ২৯ জন প্রার্থীকে সমর্থন করছে। তাদের জোট তারা বজায় রেখেছে। যারা যুদ্ধাপরাধী, উদ্র জঙ্গিবাদীদের সাথে জোট করে তারা কখনও গনতান্ত্রিক দল হতে পারে না। সে হিসেবে বিএনপি গনতান্ত্রিক দল নয়।’

খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিদেশ গিয়ে যেভাবে পোলাও মাংস খেয়ে আসলেন, ভাবলাম কিছুটা উন্নতি হবে। কিন্তু তার বিপরীত হয়েছে। উনার রাজনৈতিক, সামাজিক, মানসিক কোন পরিবর্তন হয় নাই। ওরা যুদ্ধাপরাধ স্বীকার করছে আর আপনি তাদের সমর্থন করছেন। এতে জামায়াত থেকে আপনাদের আলাদা করা যায় না।’

গয়েশ্বরের দেয়া বক্তব্যের জের ধরে তিনি বলেন, ‘গয়েশ্বর কয় তারা নাকি ভোট বেশি পাবে। আপনারা জামায়াতকে সাথে নিয়ে যেভাবে আছেন তাতে ভোট শুধু কমবে না, সবিনয়ে কমবে।’



মন্তব্য চালু নেই