কথা রাখেননি মালিকরা

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, পোশাক কারখানাগুলোতে ২১ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। এ ছাড়া ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের প্রতিশ্রতিও রাখেননি পোশাক কারখানার মালিকরা।

শ্রমিকরা যাতে নির্বিঘ্নে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেজন্য পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে মালিকপক্ষ পৃথক বৈঠক করে এতে সম্মতি জানিয়েছিল।

আর চলতি মাসের ১৫ দিনের বেতনসহ ঈদ বোনাস ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করার কথা থাকলেও অল্প কয়েকটি কারখানা তা করেছে।

এদিকে শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে কারখানাগুলোতে ঈদের ছুটি দেওয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ সে কথা রাখেনি। গ্রুপ অব কোম্পানির অধীনের কারখানাগুলো বোনাস দিলেও অধিকাংশ কারখানা বোনাস দেয়নি। এ ছাড়া ৯০ শতাংশ কারখানা চলতি মাসের বেতন দেয়নি।

অপরদিকে মালিকপক্ষ জানিয়েছে, কারখানাগুলোতে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ছুটি শুরু হবে।আর গতকাল রোববার সব কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়েছে। তার দুই-তিন দিন আগে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘২১ সেপ্টেম্বর থেকে কারখানাগুলোতে ছুটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কাজের চাপের কারণে ছুটি শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে। ঈদের পর ছুটি একটু বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সব কারখানা শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। বিজিএমইএর মনিটরিং টিম এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছে।’

গার্মেন্টস ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, ‘২১ সেপ্টেম্বর থেকে ছুটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জানা গেছে, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কিছু কিছু কারখানা ছুটি দেবে। আর অধিকাংশ কারখানা ২৩ সেপ্টেম্বরের পর ছুটি দেবে। কেবল ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ কারখানায় বেতন দেওয়া হয়নি।’

জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা থাকলেও ২৩ সেপ্টেম্বরের পর ঈদের ছুটি দেবে মালিকপক্ষ। এর আগে কোনো কারখানায় যদি কাজ কম থাকে তাহলে আগে ছুটি দিতে পারে। ঈদের পর ছুটি বাড়িয়ে দেবে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ।’



মন্তব্য চালু নেই