কমছে শাকসবজি আর কাঁচা মরিচের দাম

টানা দুই মাস ধরে বিভিন্ন অযুহাতে দেশে কাঁচাবাজারে পণ্যের দর বাড়লেও অবশেষে তা কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঁচাপণ্যের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে জনিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দিন দিন পণ্যের দর আরো কমবে বলে জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এমনটিই জানিয়েছেন।

শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়, সীম ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকায় (গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা), গাজর ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা (গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা), শশা ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা (গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা), করলা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা (গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা), ঝিঙ্গা ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা (গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা), বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা (গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা), পটল ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় (গত সপ্তাহে যা ছিল ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা), কাকরুল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা (আগে ছিল ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা), ভেণ্ডি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টকায় (গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা), ওস্তা ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা (গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায়), চিঁচিঙ্গা ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় (গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা), পেঁপে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, দোন্দল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় (গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা), বটবটি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় (গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকায়), টমেটো ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকায়, আলু ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, গত দুই মাসে বেশির ভাগ সময় বৃষ্টিতে দেশের শাকসব্জির বাগান নষ্ট হয়ে যায়। ফলে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে পণ্যের দাম বাড়তি ছিল। তবে এখন আবহাওয়া স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। এতে পণ্যে দাম কমছে। এছাড়া কাঁচাপণ্যের দর আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

সেগুনবাগিচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘পাইকারী বাজারে এখন আমদানি ভালো, যে কারণে পণ্যের দাম কিছুটা কমছে। আর আমরা পাইকারী বাজারে কম দামে পাচ্ছি বলেই কাস্টমারদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে পারছি। পাইকারী বাজারে আরো দাম কমলে আমরা আরো কমে পণ্য বিক্রি করতে পারবো।’

এদিকে বাজারে পিঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে দেশি পিঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কোনো কোনো বাজারে ঈদকে সামনে রেখে প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ৮০ টাকায়ও বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিদেশি পিঁয়াজ ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে রসুনের দাম ‍অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশি রসুন ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি আদা ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শুক্রবার ছাড়া টিসিবি প্রতিদিন খোলা ট্রাকে প্রতি কেজি পিঁয়াজ রাজধানীতে ৫০ টাকায় এবং রাজধানীর বাইরে ৪৫ টাকায় বিক্রি করছে।

পাইকারী বাজারে ডিমের দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪৮ ‍টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৮০০ টাকা থেকে ৮১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে (গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকায়)। তবে হাঁসের ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পাইকারী বাজারে একশ হাঁসের ডিম ১০৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম (সাদা) ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি (লাল) ১৬৫ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই