কমনওয়েলথে ফিরছে ক্রিকেট!

ক্রিকেট খেলে গুটিকয়েক দেশ। ইউরোপ-আফ্রিকায় ফুটবল যতটা জনপ্রিয় তার ধারেকাছে নেই ক্রিকেট। ক’দিন আগে ক্রিকেটের বিশ্বায়নের জন্য দুই কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার এবং শেন ওয়ার্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবসরে যাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে অল স্টারস সিরিজ খেলেছেন। উদ্দেশ্য একটাই, আমেরিকানরাও যেন ধীরে ধীরে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে! আশার কথা, নিউইয়র্ক, হাস্টন এবং লস অ্যাঞ্জেলসের বেসবল মাঠে শচীন-ওয়ার্নদের খেলা দেখার জন্য মাঠে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

টেস্ট কিংবা ওয়ানডের চেয়ে টি-২০ ক্রিকেটের প্রতি সবার আগ্রহ বেশি। কারণ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে সময় লাগে তুলনামূলক অনেক কম। এরই মধ্যে এই ফরম্যাটের ক্রিকেটকে কমনওয়েলথ গেমসে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের বড় কর্তারা। অলিম্পিকের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রীড়াযজ্ঞের নাম কমনওয়েলথ গেমস। অলিম্পিকের মতোই প্রতি চার বছর পর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে কুয়ালালামপুর কমনওয়েলথ গেমসে একবারই ক্রিকেট হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ওই গেমসে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট হয়েছিল। কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড গ্রেভেমবার্গ জানিয়েছেন, কমনওয়েলথভুক্ত ৭১টি দেশই চায় ক্রিকেট ফিরুক।

তিনি বলেন, ‘আমরা আইসিসির সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ৭১টি দেশই মনে করে, ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে সেটা হবে দারুণ ব্যাপার।’

১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ১৬টি দেশ অংশ নিয়েছিল। সেবার ক্যারিবিয়ানরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক ছাতার নিচে নয়, আলাদাভাবে অংশ নিয়েছিল। ঘরোয়া মৌসুম চলায় কমনওয়েলথে দল পাঠায়নি ইংল্যান্ড। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জেতে অস্ট্রেলিয়া। মনে করা হচ্ছে, ২০১৮ সালের অস্ট্রেলিয়া কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত না হলেও ২০২২ দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান গেমসে দেখা যেতে পারে ক্রিকেটকে।



মন্তব্য চালু নেই