কমলগঞ্জে প্রধান সড়ক বন্ধ রেখে বণিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচন ॥ জন দুর্ভোগ

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় শুক্রবার (১৮ মার্চ) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে বণিক কল্যাণ সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কড়া নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় শমশেরনগর-কমলগঞ্জ প্রধান সড়ক বন্ধ রেখে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে বণিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচন পরিচালনায় এ পথে চলাচলকারী সকল যানবাহন ও যাত্রীরা দুর্ভোগের মাঝে পড়েন। শুক্রবার সকাল আটটা থেকে হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহন চলে।

জানা যায়, শমশেরনগর বণিক কল্যাণ সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষে শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়কস্থ হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে কেন্দ্র হিসাবে নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহন শুরু হলেও তার আগে বাজার চৌমুহনী থেকে নির্বাচন কেন্দ্র হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের দখল নেয় মোট ১৫ পদের ৩৬ প্রার্থী। প্রার্থীরা সড়কধারে চেয়ার টেবিল বসিয়ে ভোটারদের নাম নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আর ভোটার আসার পরই তাকে নিয়ে চলে প্রার্থীদের শেষ বারের মত হাত মেলানো ও কুশল বিনিময়। প্রার্থী ও সমর্থকরা এমনভাবে সড়কটি দল করে রেখেছেন ফলে সাধারন পথচারীরাও চলাচল করতে পারেনি। ভোট গ্রহন শুরুর সাথে সাথেই সকাল আটটা থেকে দুই দিকে সড়কে চেয়ার টেবিল রেখে শমশেরনগর চৌমুহনা থেকে হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত পথে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ কারণে শুক্রবার সকাল থেকে শমশেরনগর-কমলগঞ্জ প্রধান সড়কে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে।

জন দুর্ভোগে পড়ে যাত্রী নিয়ে যানবাহনগুলো শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়ক হয়ে শিংরাউলী গ্রামের পথ ব্যবহার করে আবারও কমলগঞ্জ সড়কে উঠতে হয়েছে। সড়ক বন্ধ রেখে বণিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচন পরিচালনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শমশেরনগর বণিক কল্যাণ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোহিত বলেন, প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোট গ্রহন বিদ্যালয়ের ভিতরে হচ্ছে আর বাইরের সড়ক এভাবে বন্ধ রাখা কি বিধি সম্মত জানতে চাইলে আব্দুল মোহিত বলেন, বিকল্প একটি সড়ক ব্যবহার করে যানবাহন চলাচল করছে।

সড়ক বন্ধ রেখে বণিক কল্যাণ সমিতির নির্বাচন পরিচালনা সম্পর্কে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েই ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো: সায়েম মাহমুদ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি একবার সড়কটি খোলে দিয়েছিলেন। পুলিশ চলে যাবার পর আবার কারা সড়কটি বন্ধ করেছে। তাই তিনি নিজে আবার বেলা আড়াইটায় গিয়ে সড়কটি খোলে দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই