কমলাপুর স্টেশন যেন জনসমুদ্রে পরিণত

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামের বাড়ি ফিরছে মানুষ।

বাড়ি ফেরার মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে শুক্রবার কমলাপুর স্টেশন যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতি বছর রেলে যে ভিড় হয় তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও।

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষেরা ছুটছেন নিজ গ্রামের বাড়ির পথে, সেই লক্ষ্যে কাঙ্ক্ষিত ট্রেন ধরতে শুক্রবার সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। সবচেয়ে বেশি ভিড় উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোতে।

এই ট্রেনগুলোর বগির ভেতরে যাত্রীতে ঠাসা-ঠাসি। অন্যদিকে ট্রেনের ছাদেও উপচেপড়া ভিড়, যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

সরকারি ছুটির দিন হওয়ার কারণে কমলাপুর রেল স্টেশনে শুক্রবার সকাল থেকেই বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। ঈদ উপলক্ষে গত ২৯ আগস্ট ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ আগস্ট দেওয়া হয়েছিল আজকের (৯ সেপ্টেম্বর) ট্রেনের টিকিট।

একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট হাতে নিয়ে ঘাড়ে ব্যাগ ঝুলিয়ে ট্রেনের গেটে দিয়ে ভিতরে ঢুকতে চেষ্টা করছিলেন বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিহাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, এত কষ্ট করে সারারাত ধারে লাইনে দাঁড়িয়ে অগ্রিম টিকিট কেটে কী লাভ হলো। মানুষের ভিড়ের কারণে নিজের আসন পর্যন্ত পৌঁছাতেই পারছি না।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মাসুদ রানার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতিবার ঈদে ট্রেনে যাত্রার সময় ট্রেন যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় হয়। এছাড়াও ট্রেনের বিলম্ব তো আছেই। সব মিলে ঈদে ঘুরমুখো মানুষের বিড়ম্বনার শেষ নেই। তবুও বাড়ি ফিরছি।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, যাত্রীরা যেমন সুন্দর এবং সুশৃংঙ্খলভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে পেরেছেন ঠিক তেমনি আশা করা যায় সবার ঈদ যাত্রাও সুন্দর হবে। যাত্রীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই