কম টাকায়ও শপিং চলবে এবার

শপিং মানেই যেন একগাদা টাকা খরচ! কিন্তু শপিংয়ের কথা শুনলেই তো ঠিক থাকা যায় না। কারণ অধিকাংশ মানুষই শপিং করতে ভালোবাসেন। কিন্তু বললেই তো আর পছন্দসই জিনিসটি আয়ত্তের মধ্যে চলে আসে না। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল বাজেট।

কখনও শপিং করার আগে খেয়াল রাখতে হয় বাজেটের উপর। বাজেট কম হলে জিনিস মনের মতো হয় না। আবার মাঝেমধ্যে ছাড়িয়ে যায় বাজেট। কেনাকাটা করতে গেলে নিজেকে যেন কাবুতে রাখা যায় না। সেইসঙ্গে পকেটটাও হয়ে যায় একেবারে খালি। তাই আপনার জন্য রইল পকেট বুঝে শপিং করার সহজ কয়েকটি টিপস। তাতে টাকাও বাঁচবে আবার শপিংয়ের মজাও নিতে পারবেন।

জেনে নিন অল্প টাকায় শপিংয়ের উপায়-

– ভিন্ন ডিজাইনের জামাকাপড় বেছে নিন। হাতের কাছে যা পেলে তাই তুলে নিলেন, এমনটা করবেন না। শপিং করতে গিয়ে ক্লাসি ও ট্রেন্ডি জিনিস বেছে নিন। নয়তো কিনে নেওয়ার পর তা পরতে ইচ্ছে করবে না। মাঝখান থেকে অযথা টাকা নষ্ট হবে।

– প্রয়োজন বুঝে জিনিস কিনুন। যে জিনিসটির বেশি দরকার, সেটাই কিনুন। অযথা বেশি জিনিসপত্র কিনে টাকা নষ্ট না করাই ভালো।

– নিত্যনতুন জামাকাপড় পরা আভিজাত্যের বিষয়। কিন্তু নিজের পকেটের কথাও তো মাথায় রেখে চলতে হবে। তাই অযথা একগাদা পোশাক না কেনাই ভালো। এমন পোশাক কিনুন যা বারবার ব্যবহার করতে পারবেন।

– আলমারি খুজলে মিলবে একগাদা অন্তর্বাস। একই রকমভাবে একাধিক মোজাও এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। বাড়িতে যে এতগুলো কেনা রয়েছে, তা অনেক সময়ই মনে থাকে না। তাই এগুলোর শপিং করার আগে দেখে নিন প্রয়োজন আছে কি না।

– দামী জামাকাপড় কেনার ইচ্ছা থাকলেও পকেটে টান পড়ে। অপেক্ষা করুন। ডিসকাউন্টের অফার বুঝে কেনাকাটি করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

– শীতকাল নয় অথচ শীতের পোশাক, আবার শীতকালে গরমের পোশাক কেনার বাজে অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করাই ভালো। তাই যখন যে কাল, সেই কাল বুঝে জামাকাপড় কিনুন।

– কোনও দামী জিনিস কেনার আগে অন্যান্য দোকানে তার দাম যাচাই করে নিন। তাতে আপনার সেই জিনিসটির সঠিক বাজার মূল্যের ধারণা তৈরি হবে।

– অনলাইন শপিং এর জন্য বেশ ভালো। প্রয়োজনের জিনিসটা সহজেই কিনে নিতে পারবেন। আবার বেশি টাকা খরচা হওয়ার সম্ভাবনাও কম হবে। শপিং মলে এটা সেটা দেখে কেনার ইচ্ছা জাগলেও অনলাইন শপিংয়ে তার সুযোগ নেই।

– দামী জামাকাপড় বা অ্যাক্সেসরিজ অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রইলে বেচে দিন। তাতে কিছু বাড়তি টাকা আসবে। বাজেটটাও বাড়বে।

– টাকা বাঁচাতে শপিং করতে পারেন সেল শুরু হলে। সেল চলাকালীন সেরে ফেলুন যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসের কেনাকাটা। তাতে বাড়তি খরচ এড়াতে পারবেন।



মন্তব্য চালু নেই