কর্মক্ষেত্রেও পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রী

একসঙ্গে কাজ করার সুফল অনেক দম্পতি উপলব্ধি করতে পারে না। তারা এটাকে বাজে সিদ্ধান্ত মনে করে। বিবাহিত দম্পতিরা একই কর্মস্থলে কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায়। এমন কি সম্পর্ক ভাঙনের শঙ্কা থাকে। একই বিভাগে হলে তো কথাই নেই, একজনের সাফল্যে আরেকজন নিজেকে ছোট মনে করে। এসব দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও দাম্পত্য জীবনের পাশাপাশি পেশাজীবনও একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। জানুন সহজ কৌশলগুলো-

সঙ্গীর কাজ নিয়ে মাথা ঘামাবেন না: সঙ্গীর সব কাজে নিজেকে জড়াবেন না। বিশেষ করে অফিসের কাজে। আপনার সঙ্গী যদি কলিগের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে তাহলেও তাকে একা সামলে নিতে দিন। সঙ্গীকে এ ব্যাপারে উপদেশ দিবেন না।

নিজের আলাদা জগৎ তৈরী করুন: সব সম্পর্কেই নিজস্বতা বজায় রাখতে হয়। এতে করে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। একই বিভাগে কাজ করার ফলে দুজনের একই কলিগ এবং বন্ধুবান্ধব থাকে, তাই কাজের বিরতিতে সময় কাটানোর জন্য অন্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলুন। এটি ব্যক্তিজীবন এবং পেশাজীবন উভয় ক্ষেত্রেই ভালো।

ব্যক্তিগত বিষয় দূরে রাখুন: সংসারের কোন ঝামেলা বা ঝগড়া অফিসে টেনে আনবেন না। এমনকি কলিগদের সঙ্গে এসব আলোচনাও করবেন না। এতে করে দুজনেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

পেশাদার আচরণ করুন: কর্মক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলবেন না। পেশাদার আচরণ বজায় রাখার চেষ্টা করুন। অফিসে তার সঙ্গে পেশাদারী ও বিনীত স্বরে কথা বলুন। আবেগতাড়িত হয়ে কিছু করবেন না।

স্বামী-স্ত্রীর যৌথ ব্যবসা: দাম্পত্য জীবনে একত্রে ব্যবসা পরিচালনা করা সন্তান লালনের মতই। এখানে মতের অমিল, পছন্দের ভিন্নতা থাকবে। এক্ষেত্রে দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকতে হয়। সঙ্গীর কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারলে তার সঙ্গে শ্রদ্ধা নিয়ে কথা বলুন, তার দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি ভাবুন।



মন্তব্য চালু নেই