কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে পদমর্যাদা পুনঃনির্ধারণসহ ছয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার দেশব্যাপী পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। অন্যদিকে পদমযাদা পুনঃনির্ধারণসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে ৩০ সে্প্টেম্বর পর্যন্ত সময়সূচি বেঁধে দিয়েছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে ৬ অক্টোবর থেকে তারাও কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বেতন কাঠামোতে একাদশ গ্রেড প্রদান, সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে নিয়োগ দিয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে মহাপরিচালক পদ পর্যন্ত শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি, টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করে দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো এবং সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে রবিবার প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের চারটি সংগঠন নিয়ে গঠিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফেডারেশন ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাসরিন সুলতানা বলেন, ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবো। এছাড়া ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতীকী অনশন করবো আমরা।

এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে বৈষম্য কমিয়ে না আনলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার দায়িত্ব পালন থেকে শিক্ষকরা বিরত থাকবেন বলেও তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।

এদিকে বেতন কাঠামোতে দশম গ্রেডে অন্তর্ভুক্তকরণসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক রিয়াজ পারভেজ বলেন, আমাদের পাঁচ দফা দাবি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী ৩ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর সকাল ৯টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং ৬ অক্টোবর থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবো। পাশাপাশি ১ থেকে ১০ অক্টোবর চেয়ার বর্জন কর্মসূচি চলবে।

বেতন কাঠামোতে পদমযাদা পুণনির্ধারণসহ ছাড়াও তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হল- প্রবেশ পদে প্রশিক্ষণবিহীন ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের উন্নতি দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যদা অনুযায়ী জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে অন্তর্ভুক্তকর ও ২য় শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসাবে ঘোষণা করা, সেলফ ড্রয়িং কর্মকর্তা হিসাবে ঘোষণা করা, নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে যোগ্যতা ও বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক থেকে মহাপরিচালক পর্যন্ত শতভাগ পদোন্নতির বিধান চালু, প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত বিভাগীয় নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের সাংগঠনিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক নজরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই