কলকাতায় আসব কিন্তু বাংলা বলব না, এ কি কখনও হয়?

শাহরুখ বক্তব্যের শুরুতেই বলে দিলেন, জয়া বচ্চন তাঁর বাংলা ভাষণের অনুপ্রেরণা! মঞ্চে শাহরুখ আর জয়ার সমীকরণ দেখে মনে হতে পারে, বরফ খানিকটা হলেও গলেছে। দু’বছর আগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয়া এড়িয়েই গিয়েছিলেন শাহরুখকে।

মঞ্চে উপস্থিত বাকি সকলেই শহরের অতিথি। অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন থেকে শুরু করে কাজল কিংবা পরিণীতি চোপড়া। তিনি কিন্তু নিজেকে নেহাত অতিথির আসনে বসালেন না! ২২তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে শাহরুখ খান ‘হোস্ট’ হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরলেন। বাংলায় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সকলকে উৎসবে আমন্ত্রণ জানালেন। ভাষণও দিলেন বাংলায়।

গত বছর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহরুখ আসতে পারেননি। তার আগের বছর বাংলায় ভাষণ দিয়ে গোটা অনুষ্ঠানের ‘ক্ষীর’টা খেয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি পপুলার কালচারে বিশ্বাস করেন। আমজনতা যে তাঁর বাংলা স্পিচে উদ্বেল হয়ে যাবে, সেটা তিনি ভালই জানেন। তাই কাগজ দেখে ঠুকরে ঠুকরে বাংলা বললেন। তাতেই তুমুল হাততালি! নিঃসন্দেহে, নেতাজি ইন্ডোরের গোটা অনুষ্ঠানে তিনিই সবচেয়ে বেশি হাততালি পেয়েছেন।
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সকলকে আমন্ত্রণ জানালেন তো বটেই, মঞ্চেও বাকি অতিথিদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন।

শাহরুখ বক্তব্যের শুরুতেই বলে দিলেন, জয়া বচ্চন তাঁর বাংলা ভাষণের অনুপ্রেরণা! মঞ্চে শাহরুখ আর জয়ার সমীকরণ দেখে মনে হতে পারে, বরফ খানিকটা হলেও গলেছে। দু’বছর আগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয়া এড়িয়েই গিয়েছিলেন শাহরুখকে।

‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’এর মতো ‘বোকা’ ছবিতে অভিষেক বচ্চন কেন অভিনয় করেছেন, বলে তির্যক প্রশ্ন তুলেছিলেন জয়া। যে ছবির কেন্দ্র-চরিত্রে ছিলেন শাহরুখ। তখনই দু’জনের সম্পর্কে খানিকটা শীতলতা আসে। এদিন কিন্তু উত্তাপই ছিল। জয়া প্রদীপের ভাপ নিয়ে শাহরুখের মাথায় দিলেন। যেমনটা বাড়ির বড়রা করে থাকেন।

শাহরুখ সেটাকে মান্যতা দিয়ে ভাষণের শুরুতে বলে দিলেন, ‘‘জানি জয়া আন্টি সারা সন্ধেটা আমাকে খোঁটা দেবেন। কারণ, আমি ঠিক করেছি বাংলায় বক্তব্য পেশ করব।’’

ভাষণের মাঝে জয়ার থেকে একবার ক্ষমাও চেয়ে নিলেন। তবে সবটাই হালকা চালে। জয়ার মুখের হাসিই বলে দিচ্ছিল, সম্পর্কটা এখন সহজ। -এবেলা।



মন্তব্য চালু নেই