কলম নিয়ে ঝগড়ার এ কেমন বিচার করলো শিক্ষক!

কলম নিয়ে ঝগড়ার বিচার করতে গিয়ে বিল্লাল আহমদ (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার জুড়ী উপজেলার কচুরগুল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

বিল্লাল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শ্রেণিকক্ষে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পড়াচ্ছিলেন সুলতানা ফেরদৌস নামের বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। তাঁর ক্লাস চলাকালীন কলম নিয়ে এক সহপাঠীর সঙ্গে বিল্লালের ঝগড়া হয়। ওই সহপাঠী শ্রেণি শিক্ষিকাকে বিচার দিলে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ধর্মীয়) রফিকুল ইসলামের কাছে গিয়ে বিচার দিতে বলেন। রফিকুলের কাছে বিচার দিলে তিনি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে বিল্লালকে দাঁড় করিয়ে মোটা বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে চেতন হারালে সহপাঠীরা মাথায় পানি ঢেলে তাকে সুস্থ করে তোলে। ছুটির পর সহপাঠীরা বিল্লালকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে স্বজনেরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে তাকে নিয়ে যান।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে দেখা যায়, বিল্লালের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সে ব্যথায় কাতরাচ্ছে।

ইউএনও নাছির উল্লাহ খাঁন বলেন, বিল্লালের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কচুরগুল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, আসলে প্রচণ্ড রাগ উঠায় ওই শিক্ষক (রফিকুল) এ কাজটি করে ফেলেছেন। তবে এটি মোটেই ঠিক হয়নি। বুধবার বিষয়টি মিটমাটের উদ্যোগ নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই