কলসি মাথায় চিতাবাঘ, অতঃপর যা ঘটলো… (ভিডিও)

‘একদা এক বাঘের গলায় হাড় ফুটিয়াছিল!’ তারপর সেই হাড় এক সারসপাখি কীভাবে বের করে এনেছিল আর তাকে পুরস্কার দেয়ার বদলে কতটা অপমান করেছিলেন সেই বাঘমামা-ঈসপের সে গল্প তো আমাদের সবারই জানা। কিন্তু এবার এক বাঘের গলায় কোনো হাড় নয়-আটকেছে আস্ত একখানা কলস। অবাক হচ্ছেন? পুরো ঘটনাটা খুলেই বলি, শুনুন তাহলে।

এটি কিন্তু কোনো গল্প নয়-সত্য ঘটনা। আর এ ঘটনাটি ঘটেছিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়-ভারতের রাজস্থান প্রদেশের রাজসামান্দ জেলার এক গ্রামে। সেদিন এক চিতাবাঘের খুব পানির পিপাসা পেয়েছিল। কিন্তু আশেপাশে কোথাও পানি না পেয়ে সে চলে এল সুদুলখেরা গ্রামের লোকালয়ে। গ্রামের এক বাড়িতে ঢুকে সে পানি খাওয়ার জন্য মুখ ঢুকালো এক কলসিতে। আর যায় কোথায়, কলসিখানা আটকে গেল তার মুখে। বিশ্বের সবচাইতে ক্ষিপ্র প্রাণি হিসেবে স্বীকৃত চিতাটি গলাসমেত আটকা পড়ল একটা ছোট্ট সিলভারের কলসে। এরপর বেচারীর তো যায় যায় অবস্থা!

কতই না চেষ্টা করল সে। কিন্তু ওই পাত্র থেকে মাথা তো বের হয় না। ইতিমধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। চিতা তো মরে তার নিজের যন্ত্রণায়! ওদিকে উৎসাহী লোকজনের তো আনন্দের শেষ নাই! কেউ ছবি তুলছে-কেউবা ভিডিও। শেষে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বনবিভাগের কর্মকর্তারা। তারা এসে বেচারীর মুখ থেকে কলসিটি বের করে আনেন। থুরি কলসি থেকে চিতার মুখটি বের করে আনেন।

কলসিতে আটকা পড়া মর্দা চিতাবাঘটি ছিল তিন বছর বয়সী। হাড়ি থেকে উদ্ধার পাওয়ার পর তার অবস্থা বেশ ভালো আছে। তাকে জঙ্গলে ছেড়ে আসা হয়েছে। তবে চিতাটি কোত্থেকে ওই গ্রামে এসেছিল সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্রামবাসীর ধারণা, বাঘটি কুম্বালগড় আবাসস্থল থেকে এসেছিল। তবে উদয়পুর রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার কপিল শর্মা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কেননা সুদুলখেরা গ্রাম থেকে ওই আবাসস্থলটির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।

tig

ভিডিওটি দেখতে নিচে ক্লিক করুন



মন্তব্য চালু নেই