কলারোয়ায় গভীর রাতে দোকানে অগ্নিকান্ড: পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান-ইউএনও-ভাইস চেয়ারম্যান

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো পরিদর্শন করেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার তালুকদার, আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সরকারি কলেজের বিপরীতের ৫টি দোকান অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত ১২টার পরপরই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। রাতে দোকানগুলো বন্ধ থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০মিনিটের দিকে (সোমবার) ছিদামের স্যালুন ও জাবিদ ট্রেডার্সের তালাবদ্ধ দোকানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুনের লেলিহান শিখায় পাশের রড-সিমেন্টের দু’টি দোকান, ব্যবসায়ি আশরাফুজ্জামান মিঠুর স’মিল, শ্রী গোবিন্দ’র পাইপ-পার্টসের দোকানেও আগুন ধরে যায়।

খবর পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা সদর থেকে রাত ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে প্রায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে রাত ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষনে কয়েকটি দোকান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে যায়। টাকার অংকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপণ করা কঠিন হলেও তা নেহাতই কম নয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় দোকানগুলোর সামনের যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের দু’পাশে দূরপাল্লার অনেক বাস-ট্রাক আটকা পড়ে।

অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথে কলারোয়া থানার এসআই মোয়াজ্জেম, এএসআই ইকবালের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে স্থানীয়দের সহযোগিতা করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শিক্ষক দীপক শেঠ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, কলারোয়া ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রশিদ কচি, ব্যবসায়ি বিজু, মোশারফ, তারেক, দিশান, ভোলাসহ অনেকে।

স্থানীয়রা জানান, দূর থেকে পানি আনতে বেশি সময় লাগার কারণে আগুন পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুতের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যুত লাইন বন্ধ করার জন্য বারংবার মোবাইল ফোনে কল করার পর অন্তন্ত ১০/১৫ মিনিট পরে বিদ্যুৎ লাইনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ফোন রিসিভ করে।

অথচও আর আগে দিনে রাতে বহুবার ঘনঘন বিদ্যুৎ বন্ধ হতে থাকে। কলারোয়া থানার এসআই মোয়াজ্জেম জানান, তারা অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে-ই সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দেন। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার আ.ছাত্তার জানান, সংবাদ পেয়ে-ই তাৎক্ষণিক আমরা রওনা হই। রাস্তায় ৮/১০টি বিট থাকায় হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে।

তবে ঘটনাস্থলে এসেই তড়িৎগতিতে কাজ করে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম।



মন্তব্য চালু নেই