কলারোয়ায় বাল্য বিবাহের কারণে বর ও ঘটককে ৭ দিনের কারাদন্ড

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে বাল্য বিবাহের অভিযোগে আটক করা বর আব্দুর রহমান ও ঘটক জবান আলীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭দিনের কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছ।

শনিবার বেলা ১০টায় কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুপ কুমার তালুকদার এ আদেশ প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলো কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের বড়ালী গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (২২) ও পার্শ্ববতী বয়ারডাঙ্গা গ্রামের মৃত এজমালী সরদারের ছেলে জবান আলী (৫৫)।

উল্লেখ্য, কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের বয়ারডাঙ্গা গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের ১৪ বছরের কন্যা ইভা খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী বড়ালি গ্রামের আব্দুর রহমানের সহিত ৫০ হাজার টাকার যৌতুকের চুক্তিতে নগদ ১২ হাজার টাকা পরিশোধে শুক্রবার দুপুরে বিবাহের আসর বসে। এ সময় স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার তালুকদার ও কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বাল্য বিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেন। তারা এ নির্দেশ উপেক্ষা করে বিবাহ বন্ধন সম্পন্ন করে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সদ্য বিবাহিত (বর) আব্দুর রহমান ও ঘটক জবান আলীকে আটক করেন। শনিবার সকালে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ১৯২৯ এর ৪/৫ ধারা মতে প্রত্যেককে ৭দিনের সাজা প্রদান করেন।



মন্তব্য চালু নেই