কলারোয়ায় বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিনতাই ও মারপিটের অভিযোগ

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিনতাই ও মারপিটের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারপিটেরও শিকার হয়েছেন অনেকে। রোববার রাত থেকে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

একাধিক সূত্র জানায়, কয়লা ইউনিয়ন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আব্দুর রউফ, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন, জয়নগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুর রহমান, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম, যুগিখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, দেয়াড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইব্রাহিম হোসেনসহ একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এদের মধ্যে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। মারপিটের শিকার হয়েছেন কয়লা ইউনিয়ন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি শিক্ষক আব্দুর রউফ।

দেয়াড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইব্রাহিম হোসেন জানান, শনিবার তার স্ত্রী নাজমা পারভীনের মনোনয়নপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। রোববার কেড়ে নেওয়া হয়েছে তার মনোনয়নপত্র। কয়লা ইউনিয়ন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি শিক্ষক আব্দুর রউফ জানান, তাকে মারপিট করে মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

সাতক্ষীরায় মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ইয়াছিন আলী নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এছাড়া দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুল ইসলামের লোকজন।

কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফরাজী বেনজির আহমেদ বলেন, ‘সবাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছে। বাইরের ঘটনা আমার জানা নেই।’

1111111111111111-2

এদিকে, সোমবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বৈকারী ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি রত্না খাতুন। তিনি দৈনিক কালের চিত্রের সহযোগী সম্পাদক রবিউল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে মনোয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাদের দুজনকে মারপিট ও রবিউলের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে আওয়ামী লীগের লোকজন। বর্তমানে তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।



মন্তব্য চালু নেই