কষ্টদায়ক স্মৃতি ভুলে থাকুন ৫ টি উপায়ে

নিজেকে পর্যবেক্ষণ করা ভাল, কিন্তু সর্বক্ষণ নিজের পুরোনো স্মৃতি মনে করে নিজেকে দোষারোপ করতে থাকার কোন মানে নেই। যা চলে গেছে কখনো ফিরে আসবে না। বরং বার বার পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন স্ট্রেস বাড়ায়, আত্মবিশ্বাস কমায়।

কষ্টকর স্মৃতি রোমন্থনের সমস্যা-
১। নেতিবাচক বিষয় বারবার মনে করা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
২। সমস্যাগুলোকে খুঁজতে থাকা নিজের ভাল দিকগুলো নিজের কাছে আড়াল করে দেয়।
৩। আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেবে।
৪। নেতিবাচক চিন্তার চক্র ভাঙা কঠিন।
৫। ব্রুডিং অস্বাস্থ্যকর মানসিক সমস্যা যেমন ইটিং ডিসর্ডার, সাবস্টেন্স অ্যাবিইউজ সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কীভাবে স্মৃতি রোমন্থন বন্ধ করবেন?

১। খেয়াল করুন কখন এটি হচ্ছে
কাজের ফাঁকে অনমনস্ক হয়ে হয়ত আপনি পুরাতন স্মৃতিতে ফিরে গেছেন। ভাবছেন, কী ছিল আপনার ভুল-ত্রুটি। নিজেই খেয়াল করুন কখন এরকম চিন্তায় জড়িয়ে পড়ছেন। নিজেকে ফিরিয়ে আনুন বাস্তবে। স্মৃতি রোমন্থন থেকে বেরিয়ে আসা অনুশীলনের বিষয়। বারবার চেষ্টা করতে থাকলে আপনি সহজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

২।সমাধানের চেষ্টা করুন
সমস্যা নিয়ে চিন্তা কখনোই আপনাকে সাহায্য করবে না। বরং সমাধান খুঁজুন। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, আপনার করার কিছু আছে কিনা। নিজের কাছে অঙ্গীকার করুন যে, আপনি আপনার ভুলগুলো শুধরে নেবেন।

৩। চিন্তার জন্য সময় নির্ধারণ করুন
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা যা ঘটছে তাকে সমন্বয় করতে মস্তিষ্কের কিছুটা সময় লাগে। ২০ মিনিট নির্ধারণ করুন প্রতিদিন চিন্তা বা দুশ্চিন্তা করার জন্য, তা প্রকাশ করার জন্য। যখন আপনি ওই সময়ের বাইরেও দুশ্চিন্তা করছেন, নিজেকে বলুন, ‘এখন নয়! আমি পরে চিন্তা করব।‘ আপনি যখন জানবেন, চিন্তা করার জন্য আপনার আলাদা সময় আছে তখন নিজেকে সেই জায়গা থেকে বের করে আনা সহজ হবে।

৪। নিজেকে সামলান
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই ছোট-বড় ভুল থাকে। সেগুলো নিয়ে অযথা ভাবতে থাকলে আপনি কখনো সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন না। নিজেকে সামলে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় নিজেকে ব্যস্ত রাখা। ব্যায়াম করুন, বন্ধুদের সাথে কথা বলুন, দৈনন্দিন অভ্যাস থেকে বেরিয়ে একেবারে ভিন্ন কিছু করুন যা আপনাকে নিজের খারাপ স্মৃতি ভুলে থাকতে তো সাহায্য করবেই, একই সাথে ভাল রাখবে মন।

৫।মনোযোগ অনুশীলন করুন
মনোযোগ মানুষকে বর্তমানে বাঁচতে সাহায্য করে। যখন আপনি প্রফুল্লচিত্তে মনোনিবেশ করবেন তখন আপনি সহজেই বর্তমানকে উপভোগ করতে পারবেন। মেডিটেশন বা ধ্যানের মত মনোযোগও অনুশীলনের বিষয়। আর সময়ের সাথে সাথে এটি স্মৃতিরোমন্থনের সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই