কাঁদলেন আইজিপি

‘গুলশানের ঘটনায় এসি রবিউল ও সালাহউদ্দিনকে দেখতে ইউনাইটেড হাসপাতালে যাই। গিয়ে শুনি সালাউদ্দিন মারা গেছে। পাশের রুমেই ছিল রবিউল। ডাক্তারদের বললাম যতো ডাক্তার আছে ডাকেন। রবিউলকে বাঁচাতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানালাম। কথা শেষ হতেই শুনতে পাই রবিউলও চলে গেল’ -এমন হৃদয়বিদারক স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। আইজিপির কান্নায় রাজারবাগে অনুষ্ঠিত শোকৎসভায় পুরো হল রুমে নীরবতা ভেঙে যায়। শুরু হয়ে যায় নীরব আহাজারি।

জঙ্গি দমনে আত্ম উৎসর্গকারী সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি মো. সালাহউদ্দিন খানের স্মরণে রাজারবাগে সোমবার দুপুরে এ শোকসভার আয়োজন করে ডিএমপি।

শোকসভায় আইজিপি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি যখন গুলশানে যাই, তখন ডিএমপি কমিশনার বললেন স্যার আপনি আসবেন না। এখানে (গুলশান) যুদ্ধাবস্থা। আপনি থানায় যান। আমি গুলশান থানায় ফিরে আসি। কিন্তু থানায় বড় ওয়ারলেস সিস্টেম না পেয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চলে যাই।’

‘সেখানে গিয়ে শুনি সালাহউদ্দিন মারা গেছে। প্রধানমন্ত্রীকে জানালাম। তিনি ধমক দিয়ে বললেন, রবিউলসহ অন্য সবাইকে সামরিক হাসপাতালে নেয়ার জন্য। কথার ফাঁকেই শুনি রবিউলও মারা গেছে। ওই সময় নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না। অভিভাবক হিসেবে সন্তানের মৃত্যু দেখা সত্যি কষ্টকর।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আইজিপি বলেন, যত দিন বেঁচে থাকবো ততদিন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে রবিউল ও সালাহউদ্দিনের পাশে থাকবে পুরো পুলিশ বাহিনী।

শোকসভায় ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ, সকল অতিরিক্ত কমিশনার, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগ, জোন ও থানার অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই